আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনে পূজার্থীদের মধ্যে শঙ্কা ও উদ্বেগ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চতম পর্যায় থেকে শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের ব্যাপারে পূজার্থীদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে। কিন্তু পূজার প্রাক্কালে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা কোনোভাবেই আশান্বিত হতে পারছে না, বরং আশঙ্কা ও উদ্বেগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর সারাদেশে কমপক্ষে ৯টি পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের হামিন্দপুরে রাতের আঁধারে দুর্গাপূজার প্রতিমায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ১০ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার আয়মা ঝলই মহারানী বাঁধ এলাকার কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর পুলিশ একজনকে আটক করে জানায়, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অভিযোগ, প্রতিবারই অপরাধীদের আড়াল করতে একই কৌশল ব্যবহার করা হয়। এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ পালপাড়ার রক্ষাকালী মন্দিরে রাতে কার্তিক ও সরস্বতীর প্রতিমার মাথা, হাতসহ হাঁস ও ময়ূরের কিছু অংশ ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৬ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার সদর উপজেলার কান্দুলিয়া কালীবাড়ি পূজামণ্ডপে রাতে দু’টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রস্তুতের সময় পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে, ২১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর উপজেলার পৌরসভার তাড়িয়াপাড়া এলাকায় একটি পূজা মন্দিরে সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজারনগর ইউনিয়নের মধুপুর শ্রী শ্রী রক্ষাকালী ও দুর্গা মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের হরিতলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে মনজের বিশ্বাস (৫০) নামক এক দুষ্কৃতকারী। একই দিন ভোরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতকারীরা। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ কিছু জেলায় পূজাকেন্দ্রিক সংঘটিত গোলযোগের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এসব ঘটনায় পূজার্থী জনমনে ভয়ভীতি ও শঙ্কা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। সামনের পূজাচলাকালীন দিনগুলোতে আরও সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। ঐক্য পরিষদ পূজার প্রাক্কালে বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উৎসব চলাকালে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
বিবৃতিতে উল্লেখ করা ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের হামিন্দপুরে রাতের আঁধারে দুর্গাপূজার প্রতিমায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ১০ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার আয়মা ঝলই মহারানী বাঁধ এলাকার কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর পুলিশ একজনকে আটক করে জানায়, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অভিযোগ, প্রতিবারই অপরাধীদের আড়াল করতে একই কৌশল ব্যবহার করা হয়। এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ পালপাড়ার রক্ষাকালী মন্দিরে রাতে কার্তিক ও সরস্বতীর প্রতিমার মাথা, হাতসহ হাঁস ও ময়ূরের কিছু অংশ ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৬ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার সদর উপজেলার কান্দুলিয়া কালীবাড়ি পূজামণ্ডপে রাতে দু’টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রস্তুতের সময় পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে, ২১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর উপজেলার পৌরসভার তাড়িয়াপাড়া এলাকায় একটি পূজা মন্দিরে সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজারনগর ইউনিয়নের মধুপুর শ্রী শ্রী রক্ষাকালী ও দুর্গা মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের হরিতলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে মনজের বিশ্বাস (৫০) নামক এক দুষ্কৃতকারী। একই দিন ভোরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতকারীরা। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ কিছু জেলায় পূজাকেন্দ্রিক সংঘটিত গোলযোগের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এসব ঘটনায় পূজার্থী জনমনে ভয়ভীতি ও শঙ্কা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। সামনের পূজাচলাকালীন দিনগুলোতে আরও সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। ঐক্য পরিষদ পূজার প্রাক্কালে বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উৎসব চলাকালে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস