বাংলাদেশ

চুয়েটের ‘টিম এসরো’ নাসার গ্লোবাল স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিশ্বজয়ী

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসার পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত গ্লোবাল স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (চুয়েট) ‘টিম এসরো’। চুয়েটের মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক ক্লাব এন্ড্রোমিডা স্পেস অ্যান্ড রোবোটিকস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (এসরো) এই দলটি সিনিয়র (হাই স্কুল ও উচ্চতর) ক্যাটাগরিতে ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৯.৮ স্কোর অর্জন করেছে। স্পেস টিমস অ্যাকাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ১৫টিরও বেশি দেশের ৪০টিরও অধিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। প্রতিযোগিতাটি এলিমেন্টারি, মিডল স্কুল এবং সিনিয়র/হাই স্কুল এই তিন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সিনিয়র/হাই স্কুল ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয় চুয়েটের এই দলটি। টানা সাতদিন ধরে চলমান এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা প্ল্যানেটারি সায়েন্স, স্পেসক্রাফট ডিজাইন, অরবিটাল মেকানিক্স, রিমোট সেন্সিং, এন্ট্রি–ডিসেন্ট–ল্যান্ডিং, এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল হ্যাবিট্যাটস, হিউম্যান অ্যান্ড রোবোটিক এক্সপ্লোরেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জনের পাশাপাশি ‘বেস্ট টিম ভিডিও’ ক্যাটাগরিতেও বিজয়ী হয় চুয়েটের এই দলটি। বিজয়ী দল টিম এসরোর সদস্যরা হলেন- চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব কুমার কর ও শুভ আহমেদ, কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদিল মুবাশশার এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত বণিক। চুয়েটের অ্যান্ড্রোমেডা স্পেস অ্যান্ড রোবোটিকস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের সভাপতি ও ‘টিম এসরো’ এর সদস্য সজীব কুমার কর বলেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিলো কারন রেজিস্ট্রেশন ফি ছিলো ১১০০ ডলারের মতো। আমাদের প্রফেসর সজল চন্দ্র বনিক স্যার, প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম স্যারের কল্যাণে এমাইটি এর সাইন্টিস্ট মিজানুর চৌধুরী স্টেমএক্স৩৬৫ এর মাধ্যমে এই ফিস স্পন্সর করে দেন। পূজার বন্ধের মধ্যে এবং আমাদের টার্ম ফাইনালের মধ্য পড়ায় আমরা আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তবে আমাদের টিমের অত্যন্ত ডেডিকেশন, পারফেক্ট টিম ওয়ার্ক এবং স্ট্রাটেজির মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আনন্দিত এবং কনফিডেন্ট লাগছে। আশা করি ভবিষ্যতেও দেশের জন্য কিছু করতে পারব আমরা। এ ব্যাপারে ‘টিম এসরোর’ ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বণিক জানান, এটা নিঃসন্দেহে চুয়েটের জন্যই একটা বড় অর্জন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি,ওরা রাত জেগে কাজ করেছে। চারজনের টিমের সবার মধ্যেই একটা ভালো সমন্বয় ছিল। খুব টেকনিক্যাল ভাবেই তারা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছে। এমনকি এ যাত্রাপথে তারা গত বছরের চ্যাম্পিয়নদেরও পেছনে ফেলেছে। তাদের এ অর্জন আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। উল্লেখ্য, ওই প্রতিযোগিতায় টিম এসরোর পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন এমআইটি-এর বিজ্ঞানী মিজানুর চৌধুরী এবং তার সংগঠন স্টেমএক্স ৩৬৫।   এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস