টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সেবা গ্রাম পর্যায়ে সম্প্রসারণ, ই-কমার্স, ই-গভর্ন্যান্স, টেলি-এডুকেশন ও টেলি-মেডিসিন সার্ভিস পৌঁছে দিতে টেলিকমিউনিকেশন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ জন্য ‘মর্ডানাইজাশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবাসমূহ প্রবর্তনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শক্তিশালী ট্রান্সমিশন ও ডাটা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন করার জন্য সেবার মান পর্যবেক্ষণ ও ক্রুটিমুক্ত করার অত্যাধুনিক পদ্ধতি স্থাপনের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের জন্য চীন সরকারের সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। প্রকল্পে মোট ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকার মধ্যে চীন সরকার ঋণ দিচ্ছে ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। বাকি ১৯৬ কোটি টাকার যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। ঋণ শর্ত অনুযায়ী চীন সরকারের মনোনীত চীনা নির্মাতা সংস্থা কনসোর্টিয়াম অব মেসার্স জেডটিই হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড এবং মেসার্স জেডটিই করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রাম পর্যায়ে টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সেবা সম্প্রসারণ, ই-কমার্স, ই-গভার্ন্যান্স, টেলি-এডুকেশন ও টেলি-মেডিসিন সার্ভিসগুলো প্রণয়নের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ সেক্টরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেসরকারি অপারেটরদের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যাতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি অনগ্রসর ও দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীর কাছেও অত্যাধুনিক টেলিযোগযোগ সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা যায়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা সার্ভিস অত্যন্ত ব্যযবহুল। ফিক্সড ফোন অপারেটর হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম খরচে উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা সার্ভিস দিতে সক্ষম। উচ্চ গতি সম্পন্ন ডাটা সার্ভিস এবং নানাবিধ ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব।
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিটিসিএল ২০০৯ সালে ‘ইন্সটলেশন অব এনজিএন বেজড টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ (এনটিএন)’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে। পরবর্তীতে চীন সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে চীন সরকার প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রকল্পের আওতায় ১৬ লাখ লাইন ক্যাপাসিটি আইএমএস প্লাটফরম স্থাপন করা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় মূল তিনটি প্লাটফরম স্থাপন করা হবে, যার মাধ্যমে সব বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও গ্রোথ সেন্টারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করা যাবে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
এ জন্য ‘মর্ডানাইজাশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবাসমূহ প্রবর্তনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শক্তিশালী ট্রান্সমিশন ও ডাটা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন করার জন্য সেবার মান পর্যবেক্ষণ ও ক্রুটিমুক্ত করার অত্যাধুনিক পদ্ধতি স্থাপনের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের জন্য চীন সরকারের সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। প্রকল্পে মোট ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকার মধ্যে চীন সরকার ঋণ দিচ্ছে ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। বাকি ১৯৬ কোটি টাকার যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। ঋণ শর্ত অনুযায়ী চীন সরকারের মনোনীত চীনা নির্মাতা সংস্থা কনসোর্টিয়াম অব মেসার্স জেডটিই হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড এবং মেসার্স জেডটিই করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রাম পর্যায়ে টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সেবা সম্প্রসারণ, ই-কমার্স, ই-গভার্ন্যান্স, টেলি-এডুকেশন ও টেলি-মেডিসিন সার্ভিসগুলো প্রণয়নের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ সেক্টরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেসরকারি অপারেটরদের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যাতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি অনগ্রসর ও দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীর কাছেও অত্যাধুনিক টেলিযোগযোগ সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা যায়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা সার্ভিস অত্যন্ত ব্যযবহুল। ফিক্সড ফোন অপারেটর হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম খরচে উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা সার্ভিস দিতে সক্ষম। উচ্চ গতি সম্পন্ন ডাটা সার্ভিস এবং নানাবিধ ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব।
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিটিসিএল ২০০৯ সালে ‘ইন্সটলেশন অব এনজিএন বেজড টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ (এনটিএন)’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে। পরবর্তীতে চীন সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে চীন সরকার প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রকল্পের আওতায় ১৬ লাখ লাইন ক্যাপাসিটি আইএমএস প্লাটফরম স্থাপন করা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় মূল তিনটি প্লাটফরম স্থাপন করা হবে, যার মাধ্যমে সব বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও গ্রোথ সেন্টারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করা যাবে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি