নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পানিবন্দি তিন লক্ষাধিক মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার চারটি উপজেলার তিন লক্ষাধিক বন্যার্ত মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের অনেকেই বিভিন্ন বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদি পশুসহ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাঁধে আশ্রিতরা খোলা আকাশের নিচে থাকায় বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন।
বন্যার্তরা জানান, খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগারের সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন জানান, গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের পৌর এলাকার কুটিপাড়া, ডেভিড কোম্পানীপাড়া ও গোদারহাটের আটটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি চোয়াচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে শহরবাসী আতংকের মধ্যে রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি হাট, ফুলছড়ি ও সাঘাটার ভরতখালির হাট তিনটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাটের ওপর দিয়ে এখন নৌকা চলছে। বৃহত্তর ওই হাট তিনটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় ওইসব এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে।
অপরদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের ২০টি পয়েন্টে সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সঙ্গে গাইবান্ধা জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলার ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৫টি উচ্চ বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত চারটি উপজেলায় ৬৫টি মেডিক্যাল টিম স্বাস্থ্য সেবায় কর্মরত রয়েছে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বিতরণ করেন।
এ সময় ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যা অ্যাডভোকেট গোলাম শহীদ রঞ্জু, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার চারটি উপজেলার তিন লক্ষাধিক বন্যার্ত মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের অনেকেই বিভিন্ন বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদি পশুসহ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাঁধে আশ্রিতরা খোলা আকাশের নিচে থাকায় বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন।
বন্যার্তরা জানান, খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগারের সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন জানান, গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের পৌর এলাকার কুটিপাড়া, ডেভিড কোম্পানীপাড়া ও গোদারহাটের আটটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি চোয়াচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে শহরবাসী আতংকের মধ্যে রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি হাট, ফুলছড়ি ও সাঘাটার ভরতখালির হাট তিনটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাটের ওপর দিয়ে এখন নৌকা চলছে। বৃহত্তর ওই হাট তিনটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় ওইসব এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে।
অপরদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের ২০টি পয়েন্টে সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সঙ্গে গাইবান্ধা জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলার ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৫টি উচ্চ বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত চারটি উপজেলায় ৬৫টি মেডিক্যাল টিম স্বাস্থ্য সেবায় কর্মরত রয়েছে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বিতরণ করেন।
এ সময় ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যা অ্যাডভোকেট গোলাম শহীদ রঞ্জু, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি