বাংলাদেশ

বসুন্ধরা শপিং সিটিতে দুই দফায় আগুণ, ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বসুন্ধরা শপিং সিটিতে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ষষ্ঠ তলার একটি জুতার দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌনে ১২টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে ২৯টি ইউনিটের দেড় শতাধিক কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে জানান, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

পরে রাত ৯টায় ‘শিফট’ বদলের কাজ শুরু হয় ফায়ার সার্ভিসের। সকাল থেকে যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা চলে যাবেন। আসবে নতুন দল। পাঁচটি গাড়ি রেখে বাকিরা চলেও যায়।

রাত ১০টার দিকে শুরু হয় আবার হৈ চৈ। পথচারীদের অনেকেই কমপ্লেক্সের পেছনে আগুন জ্বলতে দেখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনে হয়েছে হঠাৎই আবার আগুন লেগেছে বসুন্ধরায়। এবারো ঠিক ছয়তলায় আগুন দেখতে পায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বসুন্ধরায় আবারো আগুন লাগে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, এখন ২০টি ইউনিট কাজ করছে আগুন নেভানোর জন্য।

ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশনের কর্মী মাজেদুল ইসলাম জানান, রাত ৯টায় শিফট বদলের কারণে একদল কর্মী চলে যান। কারণ এরা সকাল থেকে কাজ করছেন। আবার একদল কর্মী আসবেন যাঁরা রাতভর কাজ করবেন। তিনি আরো জানান, পরের বার যে আগুন চোখে পড়ে তা নতুন করে নয় বরং আগেরই আগুন। ধোঁয়ার কারণে এ আগুন নজরে আসেনি। ধোঁয়া কমে যাওয়ায় ওই আগুন চোখে পড়ে।

মাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর কাজ করছেন।

এদিকে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের নিরাপত্তাকর্মী তৌহিদুর রহমান জানান, আগুন নেভানোর জন্য বসুন্ধরার প্রায় ২০০ নিরাপত্তাকর্মী ভবনের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ভেতরে প্রায় ৪০০ জন আগুন নেভানোর কাজ করছেন বলে জানান তিনি।


ক্ষয়ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা বলে দাবি করেছেন শপিং মলের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম এ হান্নান। রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।   

হান্নান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। বাকি ২০ কোটি টাকার ডেকোরেশন। অগ্নিকাণ্ডে ছয় তলার সি ব্লকে ১০০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছয় থেকে সাতটি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
     
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সহায়তায় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।