রোববার ভোর থেকে টানা ভারি বর্ষণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল।
বরিশাল : রোববার ভোর থেকে টানা আট ঘণ্টার বৃস্টিতে ভাসছে বরিশাল মহানগরী। পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো এলাকা। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। নগরীর সবকটি সড়ক থেকে শুরু করে একাধিক স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, আফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের গেজ রিডার আব্দুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কীর্তনখোলা নদী ছাড়াও সুগন্ধা, কালাবদর, সন্ধ্যা, পায়রা, তেতুলিয়াসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাগেরহাট : টানা বৃষ্টিতে পৌর শহরসহ জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুরে চিতলমারীতে ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে দুই সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের। বিপুল পরিমাণ গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে পড়ে কয়েক কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) আব্দুস সালাম রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ বিঘ্ন ঘটেছে।
বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় পাল ও সুমন কোটাল বলেন, রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দারুণ অসুবিধা হচ্ছে।
ফেনী : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ফেনীর পরশুরামে মূহুরী নদীর ৩ স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধরে মূহুরী নদীর বেড়িবাঁধে প্রায় ৪০০ ফুট ভেঙ্গে গেছে।
দক্ষিণ শালধর গ্রামের আবদুল মমিন রাইজিংবিডিকে জানান, কয়েকশ পুকুর, ফসলি জমি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কের ঘনিয়া মোড়া থেকে ফুলগাজী বাজার পর্যন্ত অংশে পানি থাকায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কুষ্টিয়া : দুদিনের টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে রোববার দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরসহ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী : জেলায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।
এদিকে স্থানীয় নদী বন্দরে ২ ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে না আসা পর্যন্ত জেলার অভ্যন্তরীণ নৌরুটে ৬৫ ফুটের নিচে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল : রোববার ভোর থেকে টানা আট ঘণ্টার বৃস্টিতে ভাসছে বরিশাল মহানগরী। পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো এলাকা। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। নগরীর সবকটি সড়ক থেকে শুরু করে একাধিক স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, আফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের গেজ রিডার আব্দুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কীর্তনখোলা নদী ছাড়াও সুগন্ধা, কালাবদর, সন্ধ্যা, পায়রা, তেতুলিয়াসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাগেরহাট : টানা বৃষ্টিতে পৌর শহরসহ জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুরে চিতলমারীতে ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে দুই সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের। বিপুল পরিমাণ গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে পড়ে কয়েক কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) আব্দুস সালাম রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ বিঘ্ন ঘটেছে।
বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় পাল ও সুমন কোটাল বলেন, রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দারুণ অসুবিধা হচ্ছে।
ফেনী : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ফেনীর পরশুরামে মূহুরী নদীর ৩ স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধরে মূহুরী নদীর বেড়িবাঁধে প্রায় ৪০০ ফুট ভেঙ্গে গেছে।
দক্ষিণ শালধর গ্রামের আবদুল মমিন রাইজিংবিডিকে জানান, কয়েকশ পুকুর, ফসলি জমি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কের ঘনিয়া মোড়া থেকে ফুলগাজী বাজার পর্যন্ত অংশে পানি থাকায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কুষ্টিয়া : দুদিনের টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে রোববার দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরসহ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী : জেলায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।
এদিকে স্থানীয় নদী বন্দরে ২ ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে না আসা পর্যন্ত জেলার অভ্যন্তরীণ নৌরুটে ৬৫ ফুটের নিচে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।