বাংলাদেশ

অপ্রতিরোধ্য বিএটিবির অবৈধ প্রতিযোগিতা

দেশে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫(গ) ধারায় কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ দেশের শীর্ষ ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এর অবৈধ প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৪’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অবশেষে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে আগামী ৮ ডিসেম্বর ঢাকার হোটেল রেডিসনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গোপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এজন্য গত কয়েক মাস দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে রোডশো করেছে বিএটিবি। এ বিষয়ে ট্যালেন্ট ম্যানেজার অাদৃতা দত্তর সঙ্গে গত দুদিন ধরে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়ার কোনও সুযোগ করে দিতে পারেননি কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।
বিগত বছরগুলোতে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ব্যাটল অব মাইন্ড সম্পন্ন হওয়ায় এবছরও সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২শ' শিক্ষার্থী অনলাইনে এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এবছর তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও রোড শো'এর মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে।
বিশ্বস্ত এক সূত্র জানায়, অনলাইনে অাবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাইকৃত ১৪০ জন শিক্ষার্থী প্রথম রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়।
এই ১৪০ জনের মধ্যে ৬০ জনকে রেখে বাকীদের বাছাই করা হয় যারা পরবর্তী দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করে। এসব শিক্ষার্থীরা ছিল অাইবিএ, এনএসইউ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজির।
তারা নভেম্বরের ২৬ তারিখে একত্র হয়েছিল নিজেদের গ্রুপ তৈরি করার জন্য। এই ৬০ জনের মধ্যে ২০ জনকে বাছাই করা হয় তৃতীয় এবং চূড়ান্ত রাউন্ডের জন্য যেটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৮ ডিসেম্বর সোমবার।
উল্লেখ্য, এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ অডিটোরিয়ামে ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৪’ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় বিএটিবি। এ বছর তাদের স্লোগান ছিল, ‘আর ইউ নেক্সট ইন দ্যা লিগ্যাসি অব লিডার্স?’ প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রাথমিকভাবে ১৫ অক্টোবর থাকলেও পরবর্তীতে তা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
কর্মসংস্থানের নামে ২০০৪ সাল থেকে দেশে এই মৃত্যু বিপনন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ।