২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে মোট ১৭৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)। এর মধ্যে রহস্যজনক মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং প্রতিদিন গড়ে ৫.৮৩ জন হত্যার শিকার হয়েছেন।
কমিশনের গবেষণা ও জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক জাহানারা আক্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অবশ্যই আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি বলে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে কমিশন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ এক অনুসন্ধান চালায়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়- রহস্যজনকভাবে ৭১, সামাজিক সহিংসতায় ৩৫, পারিবারিক সহিংসতায় ১৮, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ১১, রাজনৈতিক কারণে ৯, যৌতুকের কারণে ৭, গুপ্ত হত্যা ৭, ধর্ষণের পরে ৬, বিএসএফ কর্তৃক ৪, চিকিৎসকের অবহেলায় ৪ এবং অপহরণের পরে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া পরিবহন দুর্ঘটনায় ৩৮০ জন নিহত হয়েছেন। আত্মহত্যা করেছেন ২৩ জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৩ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার ৯ জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকাণ্ড হ্রাস করা সম্ভব।
সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবিও জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
কমিশনের গবেষণা ও জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক জাহানারা আক্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অবশ্যই আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি বলে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে কমিশন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ এক অনুসন্ধান চালায়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়- রহস্যজনকভাবে ৭১, সামাজিক সহিংসতায় ৩৫, পারিবারিক সহিংসতায় ১৮, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ১১, রাজনৈতিক কারণে ৯, যৌতুকের কারণে ৭, গুপ্ত হত্যা ৭, ধর্ষণের পরে ৬, বিএসএফ কর্তৃক ৪, চিকিৎসকের অবহেলায় ৪ এবং অপহরণের পরে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া পরিবহন দুর্ঘটনায় ৩৮০ জন নিহত হয়েছেন। আত্মহত্যা করেছেন ২৩ জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৩ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার ৯ জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকাণ্ড হ্রাস করা সম্ভব।
সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবিও জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি