বাংলাদেশ

নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন দেয়া হোক: সুরঞ্জিত

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নয়, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন নয়, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দেয়া হোক। সেই নির্বাচনে জনগণ যাকে রায় দেবে সেই ক্ষমতায় আসবে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের স্মরণে ও চলমান রাজনীতি নিয়ে ওই সভার আয়োজন করে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতিশ চন্দ্র রায়, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল হাই কানু, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্প্রতি রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক আলোচনা সভার উল্লেখ করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ওই সভায় দেখলাম ড. কামাল এক ধাপ পিছিয়ে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবি জানালেন। আমিও তার সঙ্গে একমত।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচন চান, অবশ্যাই নির্বাচন হবে। আপনার দাবিতে অকুণ্ঠ চিত্তে আমিও সমর্থন করলাম। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই নির্বাচন দেয়া হবে। কেবল মাত্র প্রধানমন্ত্রীত্বের রাজনীতি শেখ হাসিনা করেন না, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা।বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে, আপনারা যদি আন্দোলন করতে চান তবে সে আন্দোলন সহিংস হতে পারবে না। সে আন্দোলন হতে হবে গণতান্ত্রিক। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলন নিয়ে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে সুরঞ্জিত বলেন, আপনি কি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা যদি ভারতে আশ্রিত হয় তবে আপনি তো পাকিস্তানে আশ্রিত।প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের প্রয়াণ সময়োচিত হয়নি উল্লেখ করে সুরঞ্জিত সেন বলেন, তিনি অর্থের কারণে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্জিত হয়েছেন। তিনি দেশকে আরও দিতে পারতেন। তার শূন্যস্থান বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরে আওয়ামী লীগে সব চেয়ে বড় সংগঠন রাজ্জাক ছিলেন। তিনি অসাধারণ সংগঠক, প্রগতিশীল, বুদ্ধিদীপ্ত, নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন।