তুরস্ক সফররত জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইস্তুাম্বুলে ইরান ও তুরস্কের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।বুধবার ইস্তাম্বুলে ওআইসি দেশসমূহের পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১০ম সম্মেলন চলাকালীন তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পিকার জেমিন চিচেক এবং ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার আলী লারিজানীর সঙ্গে পৃথক এ বৈঠক হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরান ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। তুরস্ক পার্লামেন্টের স্পিকার দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) পর্যবেক্ষক মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। আলাপকালে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ও সমস্যাহীন বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের স্পিকার জেমিন চিচেক। তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পাদন ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জ্বালানী খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তুরস্কের অবকাঠামো নির্মানখাত বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে তুরস্কের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার। বাংলাদেশ হতে আমদানিকৃত তৈরি পোশাকের উপর আরোপিত সেইফগার্ড শুল্ক তুলে দেওয়ার জন্য তুরস্ককে অনুরোধ জানান তিনি। সম্মেলন চলাকালীন ডেপুটি স্পিকার ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার আলী লারিজানীর সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা, বিশেষ করে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উভয়ই একমত হন।