কলাম

করোনার দ্বিতীয় টেউ;বিচক্ষণতায় সামলাতে হবে

শীতের আগমনী বার্তায় চারদিক যেন কুয়াশাঘেরা চৌচির জমিন বুকে ফাটল ধরেছে।ভোরে সামান্য কাছেও কুয়াশায় ঢাকা থাকায় দেখা যায় না কিছুই।মানে শীত ধীরে ধীরে ঝেঁকে বসেছে। এই সময়টা ঋতু পরিবর্তনের কারণে এমনিতেই কমবেশি সবার ফ্লো লেগে আছে। জ্বর, সর্দি  আর সারাশরীরে প্রচন্ড ব্যথা,যন্ত্রণা। এখন এই অবস্থায় মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে প্রবল করোনার দ্বিতীয় টেউয়ের ভিতরেই। কোন উপায় নেই যে আর ঘরের অভিভাবকদের। আমি নিজেও যাই।তার ফল স্বরূপ দীর্ঘদিন জ্বর লেগে আছে।প্রশাসন উর্ধতনের এ ব্যাপারে সকল চাকরীজীবীদের বাঁচাতে সুদৃষ্টি কামনা করছি।যদিও প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে মাস্ক না পরলে সকল সেবা বন্ধ থাকবে গ্রাহকের।এসব কেউ মানে না এই দেশে যা বিভিন্ন পত্রিকা,গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত। তাহলে কি করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেবেন?ছোট ছোট মাসুম শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ মানছি।কিন্তু লেখাপড়ার চেয়ে জীবন অনেক মূল্যবান।স্কুল,কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মানবে না।গ্রামেগঞ্জের অবস্থা স্বচক্ষে দেখলাম কারো মুখেই মাস্ক নাই। পাড়ার দোকানে বসে আড্ডা চলছে সেই আগের মতোই।তাহলে এতো বড় একটা জনগোষ্ঠীকে করোনার দ্বিতীয় টেউ থেকে রক্ষা করতে লকডাউন জরুরী কিছুদিনের জন্য।বিশ্ব এই নীতি অনুসরণ করছে।যদিও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন লকডাউনে জনজীবন অচল হয়ে যাবে। তাই জনসংখ্যার কিয়দংশের এক ভাগ হলেও লকডাউনের আওতায় থাকা সমীচীন।বেঁচে থাকলে আসছে বছর পড়ালেখা স্বাভাবিক গতিতে চলবে বৈকি।আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সুন্দর, নিরাপদে ঘরে থাকুক।ঘরই হোক তাদের আনন্দ স্কুল।
লেখক: শিক্ষক, কবি ও প্রাবন্ধিক