করোনা কর্ণার

দেশে ঈদের ছুটিতে করোনা পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি

বাংলাদেশে গত তিন মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে রবিবার (২ আগস্ট)।

রবিবার শনাক্তের হার এক হাজারের নিচে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে ৮৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা শনিবার ছিল ২,১৯৯ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কম হলেও প্রকৃত পক্ষে ঈদের ছুটির এই সময়ে পরীক্ষার হার ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোটে সাড়ে তিন হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যা আগের দিনও ছিল প্রায় ৯ হাজারের মতো।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলছেন, “অন্যতম একটা কারণ হলো ব্র্যাক আমাদের যে নমুনা সংগ্রহ করে দেয় তারা তিনদিন তাদের বুথগুলো বন্ধ রাখবে সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছিল। 

তিনি আরও বলেন, “'ঢাকাতেই তো আসলে সর্বাধিক কেস। ঢাকা বিভাগেও সবচেয়ে বেশি। যেহেতু ব্র্যাক ঢাকাতে নমুনা সংগ্রহ করে দেয়, তারা যেহেতু তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে নমুনা কম সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে।”

নাসিমা সুলতানা আরও জানান, ঈদের সময় পরীক্ষা করাতে এমনিতেও মানুষজন কম এসেছেন।তিনি আরও বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সরকার নির্ধারিত সাড়ে তিন হাজার টাকা ফি দিয়ে অনেকেই পরীক্ষা করাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন।

ঈদের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম একইভাবে চালু থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি।

এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ঈদের সময় বরং আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, "যখন ঝুঁকিটা বেড়ে যায়, তখন আমাদের দায়িত্ব টেস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া। কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষা কম হলে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা রোগ ছড়াবে কারণ তারা স্বাভাবিক মেলামেশা বজায় রাখবে। একই সাথে কত লোকের মধ্যে রোগ ছড়াচ্ছে, কয়েকদিন পরে কত লোক সংক্রমিত হতে পারে তার বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণাটা আমরা করতে পারবো না।"





এলএ বাংলা টাইমস/এমকে