করোনা কর্ণার

এ বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসবে ফাইজারের ভ্যাকসিন

এ বছরের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে বলে জানিয়েছে আমেরিকান ওষুধ প্রস্ততকারী কোম্পানি ফাইজার। তাদের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে আশা জাগাচ্ছে। ভ্যাকসিনের ডোজের মাত্রা নির্ধারণ হয়ে গেছে এবং অনুমোদন পেলে শীঘ্রই উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান কোম্পানিটির সিইও অ্যালবার্ট বৌরলা।  


সিবিএস নিউজ-এর ফেস দ্য নেশন নামে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৌরলা বলেন, জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের সহযোগিতায় ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে ভ্যাকসিনের ইঞ্জেকশন দিয়ে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আরও বেশি মানুষের ওপরে এখন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যেই সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেগুলেটরি কমিটির কাছে। এরপর এফডিএ সায় দিলেই ভ্যাকসিন চলে আসবে দ্রুত।

জার্মান বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োএনটেক এসই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন বানিয়েছে ফাইজার। সংস্থার ভ্যাকসিন রিসার্চ বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন জ্যানসেন বলেছেন, আরএনএ টেকনোলজিতে এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করা হয়েছে। এই আরএনএ ভ্যাকসিন দেহকোষকে ভাইরাল প্রোটিন তৈরিতে বাধ্য করে, যাতে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরেই তৈরি হয়ে যায়। 

তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্বে ৩০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া শুরু করেছিল ফাইজার। সিইও বোরলা জানিয়েছেন, টিকার সুরক্ষা সার্বিক পর্যায়ে নিশ্চিত করার জন্য এখন ৪৪ হাজার জনকে ইঞ্জেকশন দিয়ে তার প্রভাব লক্ষ করা হবে। এই পর্বে ১৬ বছরের কম বয়সীদেরও টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, এইডস রোগী, হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি রোগীদেরও টিকার ডোজ দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন জার্মানির বায়োএনটেকের অধ্যাপক উগার সাহিন। তিনি জানিয়েছেন, এই আরএনএ ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে ‘মেমরি বি সেল’ তৈরি করবে, যা থেকে দেহকোষে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। অ্যান্টিবডি বেসড ইমিউন রেসপন্স বা অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি করবে এই ভ্যাকসিন। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।







এলএ বাংলা টাইমস/এমকে