করোনা কর্ণার

আবারো জে এন্ড জে'র টিকা প্রয়োগ চালু হচ্ছে

জনসন এন্ড জনসনের তৈরি টিকা প্রয়োগের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ও ইউএস ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে মত দেন। টিকা প্রয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঝুঁকি রয়ে গেছে। তাই টিকার গায়ে 'রক্ত জমাট বাঁধা সতর্কতা' লেবেল লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থা দুইটি। এফডিএ জানিয়েছে, শনিবার (২৪ এপ্রিল) থেকে টিকা প্রয়োগ আবার শুরু হবে। এর আগে টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে কী না, সেই বিষয়ে সিডিসি ও এফডির কর্মকর্তাদের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। এফডিএ কমিশনার ড. যেনেট উডকক বলেন, জে এন্ড জে'র টিকার উপকারিতা এবং ১৮ বছরের বেশি বয়েসীদের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে অবগত হয়ে টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, 'এই টিকা করোনা প্রতিরোধে যে সুরক্ষা প্রয়োজন, সেটি আমাদের দিবে বলে আমার বিশ্বাস। কোন টিকাটি জনগনের জন্য নেওয়া নিরাপদ হবে সেটি নিজস্ব স্বাস্থ্যসেবীর সাথে আলোচনার পর গ্রহণ করলেই হবে'। এদিকে, ড. রোচেলে ওয়ালেন্সকি বলেন, 'এফডিএর অনুমোদনের বিষয়টিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমি অনুমোদনের কাগজে সই করেছি। এখন থেকে আবার ১৮ ও এর বেশি বয়েসী বাসিন্দারা এই টিকা গ্রহণ করতে পারবে'। জনসন এন্ড জনসনের টিকা যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র টিকা যেটির এক ডোজ ব্যবহারেই করোনার থেকে সুরক্ষা মেলে। এর ফলে অনেক বেশি বাসিন্দাকে সহজেই এই টিকার আওতায় আনা সম্ভব। এর আগে, জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা টিকার প্রয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জে এন্ড জে'র টিকা সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখে। জনসন এন্ড জনসনের তৈরি টিকা গ্রহণের পর ছয়জন টিকাগ্রহীতার দেহে রক্ত জমাটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ফেডারেল স্বাস্থ্য সংস্থা ১৩ এপ্রিল জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার প্রয়োগ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। এই ছয়জনের সবাই ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সী নারী। টিকা নেওয়ার এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয় এবং একজনকে সংকটাপন্ন অবস্থায় নেব্রাস্কার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। এলএবাংলাটাইমস/ওএম