করোনা কর্ণার

করোনা মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি: সিডিসি

অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকা গ্রহণের কর্মসূচী আরো বাড়াতে হবে ও পুনরায় মাস্ক ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করতে হবে। সিডিসির একটি নথি থেকে জানা যায় যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সাথে মোকাবিলা করার জন্য নতুন পদ্ধতি ও পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার প্রয়োজন। নথিটি থেকে জানা যায়, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে মৃত্যুর হার টিকাহীনদের মধ্যে ভয়াবহ মাত্রায় বেশি। নথিটি বলে, ‘এখন যুদ্ধটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। সবাইকে  বুঝতে হবে যে আগের তুলনায় ঝুঁকি এখন অনেক বেশি।‘ সিডিসির প্রধান রোশেল ওয়ালেনস্কি জানান যে উচ্চ ভাইরাল লোডের কারণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি পূর্বের চেয়ে বেশি সংক্রামক। পাশাপাশি এটি টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীদের দেহ থেকে অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়াতে পারে। সিডিসি জানায়, ২৬ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ৫৮৭ মানুষ টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পরেও করোনার কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন বা মারা গিয়েছেন। এই বসন্তে মৃদু ইনফেকশনের কারণে গণনা বন্ধ রাখা হয়েছে, কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে ৩৫ হাজারের বেশি লক্ষণযুক্ত করোনা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। নতুনরুপের এই মহামারীকে আটকানোর জন্য সিডিসি সবাইকে পূর্বের ন্যায় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানায়। পাশাপাশি সব স্বাস্থ্যকর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে টিকা গ্রহণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি এখনো টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেনি। যেসকল এলাকায় টিকার হার কম, ওইসকল স্থানে সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে অচিরেই ওইসব স্থানে হাসপাতালে ভর্তির ও মৃত্যুর হার বাড়বে। শীর্ষ মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. এন্থনি ফাউচি জানান যে তিনি আশা করছেন আগস্ট মাসের মধ্যেই করোনার টিকাগুলো সম্পূর্ণরূপে অনুমোদন পাবে। এর মাধ্যমে অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহী হবে। বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সরকারগুলোকে টিকা গ্রহণকারীদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানান । এর পাশাপাশি তিনি নতুন নিয়ম নির্ধারণ করেন যার ফলে ফেডারেল কর্মীদের টিকাগ্রহণের প্রমাণ দিতে হবে নাহলে  নিয়মিত পরীক্ষা, বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং ভ্রমণ বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হবে. বহির্বিশ্বেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি ভয়াবহ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রিটেনে টিকা গ্রহণের উচ্চহার থাকা সত্ত্বেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইনস, জাপান, ভারতসহ অনেক দেশই করোনা সংক্রমণে আনতে বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।  এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘অনেক দেশের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা হিমশিম খাচ্ছে। কষ্টে অর্জিত জয়গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।‘ এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ