করোনা কর্ণার

করোনার চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ব্যবহার না করতে ডাক্তারদের পরামর্শ

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসার জন্য নিত্য-নতুন পন্থা ও ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে আইভারমেকটিন নামক একটি পরজীবী ওষুধ সাম্প্রতিককালে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, কেন্দ্রীয় সরকয়ার ও একাধিক স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা আইভারমেকটিন ব্যবহার করতে নিষেধ করছে। এডভোকেট ট্রিনিটি হাসপাতালে ইআর ডাক্তার ডা. জোসুয়া শারম্যান বলেন, ‘এটি ঘোড়া ও বড় পশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মানবদেহে কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা গেলেও শুধুমাত্র পরজীবী রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেই ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার বিরল।‘ শারম্যান জানান যে অনেক রোগী তাঁর কাছ থেকে আইভারমেকটিন নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ চায়। তিনি বলেন,’আমি বারবার বলি যে এটি নিরাপদ নয়। এটি এরকমভাবে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়নি। এটি মাল্টিপল অরগান ফেলিয়ার ঘটাতে পারে। এটি আপনার মৃত্যুও ঘটাতে পারে।‘ মহামারীর পূর্বে, মার্কিন ফার্মেসীগুলোতে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজারের কম আইভারমেকটিন সরবরাহ করা হতো। কিন্তু গত মাসের একটি জরিপে দেখা যায় যে বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৮৮ হাজার বার আইভারমেকটিন সরবরাহ করা হয়ে থাকে।  এফডিএ বলেছে, ‘চারপাশে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে। আইভারমেকটিনের বড় ডোজ নেওয়া কোনভাবেই নিরাপদ না।‘
  সিডিসি একটি সর্তকবার্তা দিয়েছে। তাদের মতে, ২০২১ সালে আইভারমেকটিন সম্পর্কিত এক্সপোজার ও বিরুপ প্রভাবের ঘটনা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকান ফার্মাসিস্টস এসোসিয়েসনের ভিপি এনি বার্ন্স বলেন, ‘একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে বলছি যে আইভারমেকটিন গ্রহণ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।‘ আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েসনের প্রেসিডেন্ট ড. জেরাল্ড হারমন বলেন, ‘আমি মনে করি যে আমাদের উচিত করোনার ক্ষেত্রে এটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের বাইরে এটি কাউকে না দেওয়া। এটির অতিব্যবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।‘ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, করোনা মোকাবিলা করার সর্বোত্তম হাতিয়ার হলো টিকা। এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ