বিশ্বের সেরা পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলোর তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করল বাংলাদেশের গ্রিন টেক্সটাইল। লিড সনদে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত কারখানাটির ৪ নম্বর ইউনিট। ১১০ নম্বরের মধ্যে ১০৪ পেয়েছে তারা। গ্রিন টেক্সটাইল বাংলাদেশের এনভয় লিগ্যাসি এবং হংকংভিত্তিক কোম্পানি এপিক গ্রুপের যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার আটটিই বাংলাদেশের। কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে- রেমি হোল্ডিংস, ফতুল্লা অ্যাপারেলস, তারাসিমা অ্যাপারেলস, প্লামি ফ্যাশন্স, সিল্ক্কেনু সুইং ও মিথেলা টেক্সটাইল। বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠান তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রোববার লিড সনদের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ 'লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড)' দিয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০০টি কারখানার মধ্যে বাংলাদেশের ৫২টি। এর পরের অবস্থানে চীন। এ তালিকায় তাদের ১০টি কারখানা আছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের ৯টি, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের ছয়টি করে এবং ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের চারটি করে কারখানা রয়েছে।ইউএসজিবিসি তিন ধরনের লিড সনদ দিয়ে থাকে। ৮০ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া কারখানাগুলোকে দেওয়া হয় প্লাটিনাম সনদ। ৬০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে গোল্ড সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৫০ থেকে ৫৯ নম্বরে সিলভার এবং ৪০ থেকে ৪৯ নম্বর পেলে সার্টিফায়েড সনদ দেওয়া হয় সংশ্নিষ্ট কারখানাকে।
এবার শীর্ষস্থানে থাকা সব কারখানাই পেয়েছে প্লাটিনাম সনদ। লিড সনদ পেতে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করতে পারে যে কোনো কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ জন্য টেকসই কারখানা স্থাপন, পানির দক্ষ ব্যবহার, জ্বালানি ও পরিবেশ, উপকরণ ও সম্পদ, অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, উদ্ভাবন, আঞ্চলিক অগ্রাধিকার, অবস্থান ও যাতায়াত ইত্যাদি ক্ষেত্রে মান যাচাই করা হয়।
টেকসই কারখানা প্রাঙ্গণের ক্ষেত্রে গ্রিন টেক্সটাইল ১০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ নম্বরই পেয়েছে। পানির দক্ষ ব্যবহারে তারা ১১-এর মধ্যে ১১-ই পেয়েছে। আর জ্বালানি ও পরিবেশে ৩৩ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৩২। এ ছাড়া উপকরণ ও সম্পদে ১৩-তে ১১, অভ্যন্তরীণ পরিবেশের ক্ষেত্রে ১৬-এর মধ্যে ১৪, উদ্ভাবনে ৬-এর মধ্যে ৬, আঞ্চলিক অগ্রাধিকারে ৪-এ ৪ এবং অবস্থান ও যাতায়াতে ২০-এ ১৫ পেয়েছে কারখানাটি।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস