বিশ্বকাপ
ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তোলায় পেসার রুবেলের বিরুদ্ধে ‘প্রতারণার’ অভিযোগে নারি ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের করা মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘যমুনা টিভি’
এর সাথে এক সাক্ষাতকারে হ্যাপী এ কথা জানান। হ্যাপী জানান, তার আইনজীবী কুমার দেবুল দে কে জানিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে তিনি আর মামলায় লড়বেন না।
বাংলাদেশকে
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার দুর্দান্ত
বোলিং নেপুন্যে মুগ্ধ হয়ে রুবেলকে চাপমুক্ত রাখতে
এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান এই চিত্র নায়িকা। এর আগে অবশ্য হ্যাপীর আইনজীবী কুমার দেবুল দে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট
দলের প্রতি সমর্থন আর রুবেলকে চাপমুক্ত রাখতে তিনি আর হ্যাপীর হয়ে মামলা লড়তে চান না। অ্যাডিলেইড ওভালে সোমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাওয়া ১৫ রানের জয়ের ম্যাচে প্রতিপক্ষের চার ব্যাটসম্যানকে আউট করেন
রুবেল।
ফেইসবুকে
এক স্ট্যাটাসে দেবুল দে লেখেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট
সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, একজন পেশাজীবী
হিসাবে হ্যাপীর পক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম।
বাংলাদেশের এহেন সফলতায় রুবেলের বিপক্ষে
মামলায় লড়ার আমার আর ইচ্ছে নেই এবং তাই হ্যাপীর
আইনজীবী হিসাবে এখুনি নিজের নাম প্রত্যাহার করে
নিলাম। এ মামলা পরিচালনার জন্য হ্যাপী অন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ দিলে
তাতে কোনো আপত্তি থাকবে না। এখন থেকে আমি
আর হ্যাপীর আইনজীবী নই। বাংলাদেশ ক্রিকেট
দল কে শুভেচ্ছা!!!!
ঐ আইনজীবী
বলেন, “বাংলাদেশ দল ভালো খেলছে। ভালো খেলুক।
রুবেল চাপমুক্ত থাকুক। তাকে চাপমুক্ত রাখতেই
আমার এ সিদ্ধান্ত। বিশ্বকাপের আগে হ্যাপীর করা মামলায় তিন দিন জেলেও থাকতে হয়েছে রুবেলকে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পানএবং
বিদেশে খেলতে যাওয়ার অনুমতি পান। রুবেলের
বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ঠেকাতেও হাই কোর্টে
গিয়েছিলেন ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা
হ্যাপী। তবে আদালত তার সেই আবেদনে
সাড়া দেয়নি। ওই মামলা নিয়ে মাসখানেক ধরে তুমুল আলোচনার পর গত মাসের শুরুতে হ্যাপী জানিয়েছিলেন, রুবেলকে তিনি ‘ক্ষমা করে’ দিয়েছেন। সোমবার বিদেশের মাটিতে রুবেল যখন দেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিতে লড়ছেন, তার কৃতিত্বে ফেইসবুকে একের
পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন হ্যাপীও। ম্যাচের মাঝখানে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- আমি
সত্যিই খুব খুশি। উইকেট পেয়েছে। দারুণ দেখিয়েছো বাবু, চালিয়ে যাও। আর
ম্যাচ জয়ের পর রুবেলের উদ্দেশ্যে ‘চুমু’ ছুড়ে দিয়ে
হ্যাপী লেখেন, আমি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে
ফেলেছি।