বিনোদন

সুজানার সাথে বিচ্ছেদের ব্যাপারে মুখ খুললেন হৃদয়

তিন বছর প্রেম করে গত বছরের ১ আগস্ট নিজের
চেয়ে বয়সে ৬ বছরের বড় সুজানাকে বিয়েকরেন হৃদয় খান। কিন্তু বছর না পেরোতেই শুরুহয় দাম্পত্য কলহ। শেষ পর্যন্ত সেই কলহের জেরধরেই বিষয়টি গড়াল বিচ্ছেদে। অবশেষেজল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন হৃদয় খান।মডেল ও অভিনেত্রী সুজানার সঙ্গে তারবিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি দেশের জনপ্রিয় এইসঙ্গীতশিল্পী নিশ্চিত করেছেন নিজেই।ফেসবুকে নিজের ফেরিফাইড ফ্যান পেজেসোমবার রাতে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায়হৃদয় খান জানান, 'পারস্পরিক সমঝোতা'রভিত্তিতে বিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত নেয়াহয়েছে।কয়েকদিন আগে হৃদয় খান ও সুজানার সংসারেভাঙনের খবর প্রকাশ হয় দেশের বিভিন্নগণমাধ্যমে। সোমবার জানা যায়, বিচ্ছেদেরজন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকনামায়ও সইকরেছেন তারা দুজন।শুরুতে এ নিয়ে মুখ না খুললেও পরবর্তীতেবিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলেন সুজানা। কিন্তুএ বিষয়ে হৃদয় ছিলেন নীরব। যোগাযোগেরচেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তার মন্তব্য।অবশেষে নীরবতা ভেঙে ফেসবুকে ভিডিওবার্তাদিয়ে সবাইকে নিজেদের বিচ্ছেদের খবরজানান হৃদয়।ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, 'হ্যালো ফ্রেন্ডস,আপনাদের সবার উদ্দেশে আমার একটা কথা আমিবলতে চাই। আপনারা সবাই জানেন আমি প্রচণ্ডভালোবেসে সুজানাকে বিয়ে করেছি গত বছরপয়লা আগস্টে। কিন্তু আজ থেকে, আজ ৬ এপ্রিলথেকে আমাদের আর সংসার করা হচ্ছে না এবংআমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের কারণে আসলেসংসারটা আর হচ্ছে না। আমরা দুজনেইমিউচুয়ালি সেপারেশনে যাচ্ছি। আমার জন্যদোয়া করবেন সবাই। ধন্যবাদ।'ভিডিওটিতে হৃদয়কে দেখা গেছে প্রচণ্ড বিমর্ষঅবস্থায়। কথা বলার সময় তার কণ্ঠও ছিলমলিন। তবে কী কারণে এই বিচ্ছেদেরসিদ্ধান্ত- তা নিয়ে কিছু বলেননি হৃদয়।উল্লেখ্য, হৃদয়ের সঙ্গে বিয়ের আগে ২০০৬সালে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সুজানার বিয়ে হয়।কয়েক মাস টিকেছিল সেই সংসার।সাম্প্রতিক বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সুজানাদাবি করেন, হৃদয় খানও তাকে বিয়ে করার আগে২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতার নামে এক মেয়েকেপালিয়ে বিয়ে করেন। ছয় মাস পর সেই সংসারভেঙে যায়।