এবার চলচ্চিত্রে নিয়মিত হতে চান মঞ্চ ও টিভি নাটকের ব্যস্ততম অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতি। যুৎসই গল্প ও চরিত্র পেলে প্রীতি ‘যে কোনো ধারার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন।
সম্প্রতি ইমরাউল রাফাত পরিচালিত ‘কলিংবেল’ নাটকের সেটে গ্লিটজের সঙ্গে আড্ডায় প্রীতি বললেন, “আমার রুচির সঙ্গে গেলে যে কোনো ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত আমি। বিকল্প ধারা ও বাণিজ্যিক এমন তত্ত্বে আমি বিশ্বাসী নই। আমার কাছে সিনেমার গল্পটি প্রাধাণ্য পাবে। গল্প পছন্দ হলে আমি সব ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয়ে প্রস্তুত।”
কমেডি ধাঁচের ‘কলিংবেল’ নাটকে প্রীতি অভিনয় করছেন স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা শিউলির চরিত্রে। কিছূটা বাতিকগ্রস্ত মেয়েটি পরিবারকে ভীষণ গুরুত্ব দেয়। আগলে রাখে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে।
নাটকটি নিয়ে প্রীতি বলছেন, “আমি এর আগে কখনো কোনো কমেডি নাটকে অভিনয় করিনি। রাফাতের নাটকের চিত্রনাট্য আমাকে অভিভূত করেছে। নাটকে সিচুয়েশনাল কমেডিকে প্রাধাণ্য দেওয়া হয়েছে, যা আমার খুব মনঃপুত হয়েছে। রাফাতের পরিচালনাতেও আমি মুগ্ধ। তরুণ পরিচালক হিসেবে সে খুব যত্ন নিয়ে ধারাবাহিকটি নির্মাণ করছে।”
প্রীতি এখন আফসানা মিমি পরিচালিত ‘সাতটি তারার তিমির’ নাটকেও অভিনয় করছেন। অভিনয় করছেন আরও তিনটি ধারাবাহিকে।
ধারাবাহিকের ব্যস্ততায় এক ঘণ্টার নাটকে উপস্থিতি বড় কম প্রীতির। এর কারণ হিসেবে প্রীতি বলছেন, “ ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে আমার একটি কমিটমেন্ট থাকে, শিডিউল অনেক আগেই ফিক্সড হয়ে থাকে। চাইলেও খুব বেশি এক ঘণ্টার নাটকে কাজ করতে পারছি না।”
ধারাবাহিক নাটকগুলোর গল্প একই রকম হয়ে যাচ্ছে-গ্লিটজের এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে প্রীতি বলেন, “আমাদের দেশে এতগুলো চ্যানেল! প্রতিটি চ্যানেলে ধারাবাহিক নাটক হচ্ছে। সে তুলনায় কলাকুশলী কিন্তু নেই। চিত্রনাট্যকার থেকে শুরু করে ইউনিটের অন্যান্য কারিগরি দিকে কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল নেই। একই মুখ চিত্রনাট্য লিখছে, পরিচালনা করছে, অভিনয় করছে। একঘেয়েমি তো হতে পারে।”
অন্য অনেক অভিনয়শিল্পীর মতো প্রীতিও মনে করছেন দর্শক টিভি নাটক দেখছে না। তিনি বলছেন, “পাঁচ বছর আগেও টিভি নাটক থেকে দারুণ দর্শক প্রতিক্রিয়া পেতাম। এটা সত্যিই হতাশার।”
মঞ্চনাটকের দল প্রাচ্যনাটের সদস্য প্রীতি এখন ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ এবং ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক দুটি নিয়ে ব্যস্ত। প্রাচ্যনাটের হয়ে রাহুল আনন্দের নির্দেশনায় পথনাটক ‘মান্দার’- এর বৃক্ষপ্রেমী বোবা মেয়ের চরিত্রটিকে প্রীতি বলছেন, তার ‘সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র’।
১৯৯৫ সালে সাইফুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘বকুলপুরের স্বাধীনতা’ নাটকের মাধ্যমে মঞ্চনাটকে অভিষেক হয় প্রীতির। প্রাচ্যনাটের হয়ে অভিনয় করেছেন ‘সার্কাস সার্কাস’, ‘রাজা এবং অন্যান্য’, ‘পুনর্জন্ম’, ‘এ ম্যান ফর অল সিজন’ ও ‘কইন্যা’নাটকে। ছোটপর্দায় সানজিদা প্রীতির পথচলা শুরু ২০০১ সালে। পান্না কায়সারের রচনা ও আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘পাথর সময়’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এর দুই বছর পর থেকে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ডলস হাউস’, ‘নীল উষ্ণতায় কাঁদি এবং বনলতা সেন’, ‘কফি নাকি কবিতা’, ‘দৃষ্টিদান’, ‘ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই’, ‘ডোরা কাটা’, ‘অন্যসব’, ‘জয় যেন মনের হয়’ ইত্যাদি। ।
সম্প্রতি ইমরাউল রাফাত পরিচালিত ‘কলিংবেল’ নাটকের সেটে গ্লিটজের সঙ্গে আড্ডায় প্রীতি বললেন, “আমার রুচির সঙ্গে গেলে যে কোনো ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত আমি। বিকল্প ধারা ও বাণিজ্যিক এমন তত্ত্বে আমি বিশ্বাসী নই। আমার কাছে সিনেমার গল্পটি প্রাধাণ্য পাবে। গল্প পছন্দ হলে আমি সব ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয়ে প্রস্তুত।”
কমেডি ধাঁচের ‘কলিংবেল’ নাটকে প্রীতি অভিনয় করছেন স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা শিউলির চরিত্রে। কিছূটা বাতিকগ্রস্ত মেয়েটি পরিবারকে ভীষণ গুরুত্ব দেয়। আগলে রাখে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে।
নাটকটি নিয়ে প্রীতি বলছেন, “আমি এর আগে কখনো কোনো কমেডি নাটকে অভিনয় করিনি। রাফাতের নাটকের চিত্রনাট্য আমাকে অভিভূত করেছে। নাটকে সিচুয়েশনাল কমেডিকে প্রাধাণ্য দেওয়া হয়েছে, যা আমার খুব মনঃপুত হয়েছে। রাফাতের পরিচালনাতেও আমি মুগ্ধ। তরুণ পরিচালক হিসেবে সে খুব যত্ন নিয়ে ধারাবাহিকটি নির্মাণ করছে।”
প্রীতি এখন আফসানা মিমি পরিচালিত ‘সাতটি তারার তিমির’ নাটকেও অভিনয় করছেন। অভিনয় করছেন আরও তিনটি ধারাবাহিকে।
ধারাবাহিকের ব্যস্ততায় এক ঘণ্টার নাটকে উপস্থিতি বড় কম প্রীতির। এর কারণ হিসেবে প্রীতি বলছেন, “ ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে আমার একটি কমিটমেন্ট থাকে, শিডিউল অনেক আগেই ফিক্সড হয়ে থাকে। চাইলেও খুব বেশি এক ঘণ্টার নাটকে কাজ করতে পারছি না।”
ধারাবাহিক নাটকগুলোর গল্প একই রকম হয়ে যাচ্ছে-গ্লিটজের এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে প্রীতি বলেন, “আমাদের দেশে এতগুলো চ্যানেল! প্রতিটি চ্যানেলে ধারাবাহিক নাটক হচ্ছে। সে তুলনায় কলাকুশলী কিন্তু নেই। চিত্রনাট্যকার থেকে শুরু করে ইউনিটের অন্যান্য কারিগরি দিকে কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল নেই। একই মুখ চিত্রনাট্য লিখছে, পরিচালনা করছে, অভিনয় করছে। একঘেয়েমি তো হতে পারে।”
অন্য অনেক অভিনয়শিল্পীর মতো প্রীতিও মনে করছেন দর্শক টিভি নাটক দেখছে না। তিনি বলছেন, “পাঁচ বছর আগেও টিভি নাটক থেকে দারুণ দর্শক প্রতিক্রিয়া পেতাম। এটা সত্যিই হতাশার।”
মঞ্চনাটকের দল প্রাচ্যনাটের সদস্য প্রীতি এখন ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ এবং ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক দুটি নিয়ে ব্যস্ত। প্রাচ্যনাটের হয়ে রাহুল আনন্দের নির্দেশনায় পথনাটক ‘মান্দার’- এর বৃক্ষপ্রেমী বোবা মেয়ের চরিত্রটিকে প্রীতি বলছেন, তার ‘সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র’।
১৯৯৫ সালে সাইফুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘বকুলপুরের স্বাধীনতা’ নাটকের মাধ্যমে মঞ্চনাটকে অভিষেক হয় প্রীতির। প্রাচ্যনাটের হয়ে অভিনয় করেছেন ‘সার্কাস সার্কাস’, ‘রাজা এবং অন্যান্য’, ‘পুনর্জন্ম’, ‘এ ম্যান ফর অল সিজন’ ও ‘কইন্যা’নাটকে। ছোটপর্দায় সানজিদা প্রীতির পথচলা শুরু ২০০১ সালে। পান্না কায়সারের রচনা ও আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘পাথর সময়’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এর দুই বছর পর থেকে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ডলস হাউস’, ‘নীল উষ্ণতায় কাঁদি এবং বনলতা সেন’, ‘কফি নাকি কবিতা’, ‘দৃষ্টিদান’, ‘ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই’, ‘ডোরা কাটা’, ‘অন্যসব’, ‘জয় যেন মনের হয়’ ইত্যাদি। ।