বিনোদন

ক্যালিফোর্নিয়া ছেড়ে নিউ ম্যাক্সিকোতে যাচ্ছে হলিউড

ক্যালিফোর্নিয়ার উচ্চ কর হারে জর্জরিত শুধু এর বাসিন্দা আর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই নয়, হলিউডও একই সমস্যার শিকার। আর তাই সিনেমা, সিরিজ ও অন্যান্য কন্টেন্ট তৈরি করতে পূর্বে পাড়ি জমাতে শুরু করেছে হলিউড। ইতোমধ্যে ৩৫ শতাংশ কর বাঁচাতে বিনোদন প্রতিষ্ঠান পাড়ি জমাচ্ছে নিউ ম্যাক্সিকোতে। টেমলেউড নামক স্থানে সিনেমা আর ফিল্ম স্টুডিওগুলো তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ নেটফ্লিক্স এবং এনবিসি ইউনিভার্সালের মতো বৃহৎ প্রোডাকশন হাউজগুলো আলবুকুয়েরকিউ'তে ইতোমধ্যে স্টুডিও নির্মাণ করেছে। নিউ ম্যাক্সিকোর ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট সূত্র জানায়, করোনাকালীন সময়েও এখান থেকে ২৬টি সিনেমা এবং ২৪টি টিভি প্রজেক্ট নির্মাণ করা হয়েছে। রাজ্যের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি জেফ ফ্লক বলেন, 'রেভিনিউ এর দিক থেকে আমরা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছি'। ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত নিউ ম্যাক্সিকো বিনোদন ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে ৬২৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে৷ জেফ ফ্লক বলেন, 'প্রচুর পরিমাণ বাইরের অর্থ নিউ ম্যাক্সিকোতে আসছে'। তবে স্থানীয় নেতৃস্থানীয় অনেকে করদাতাদের টাকা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে লগ্নি করতে বিরোধীতা করছেন। রিও গ্রান্ডে ফাউণ্ডেশন প্রেসিডেন্ট পোল গেসিং বলেন, 'আমরা রাজ্যের রেভিনিউ নিয়ে সন্তুষ্ট তবে আমরা এখানে ব্যবসা করতে কেনো খরচ করছি তা জানতে হবে। তারা সমতার ক্ষেত্রটি মূল্যায়ন করছে না'। আগামী দশকের মধ্যে নেটফ্লিক্স নিউ ম্যাক্সিকোতে প্রোডাকশন বাবদ ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করার পরিকল্পনা করেছে। হলিউড যদি পূর্বে স্থানান্তর হয় তাহলে নিউ ম্যাক্সিকোর স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেক লাভবান হবে৷ একই সাথে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম