নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন জয়া আহসান। শুধু অভিনয় নয়, জয়ার চিরসবুজ সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব মুগ্ধ করে সবাইকে। তিনি বাংলাদেশকে একাধিকবার বিশে^র দরবারে গৌরবের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। জয়া আহসান সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব। দেশের বিভিন্ন আলোচিত ইস্যুতে তিনি সোচ্চার হন; বিশেষ করে পশুপাখির প্রতি তার প্রেমের বিষয়টি বারবার উঠে আসে। সম্প্রতি লকডাউনে রাজধানীর কাটাবনের পশুপাখির মার্কেটে এই প্রাণীদের নিদারুণ কষ্টের কথা তিনি শেয়ার করেছেন সবার সঙ্গে। কক্সবাজারে মৃত ঘোড়ার ছবিটিও তার মনকে অবশ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অবুঝ প্রাণীদের এমন দশা মেনে নেওয়া যায় না। এদের প্রখর অভিজাত সৌন্দর্যই ছোটবেলা থেকে আমাদের সবার মন ভরিয়ে রেখেছে। ঘোড়ার এমন অসহায় মৃত্যু মন অন্ধকার করে দেয়। কারোরই এমন মৃত্যু প্রত্যাশা করা যায় না। মানুষ হিসেবে আমরা একা একাই সভ্যতার পথ ধরে এগিয়ে আসিনি। প্রকৃতি আর প্রাণিজগতের অসামান্য সাহায্য না পেলে এ পথে আমরা এক পা-ও এগোতে পারতাম না। মানুষ হিসেবে আমাদের অহংকারের শেষ নেই। সে মূর্খ অহংকারে পেছনের সবকিছু আমরা তাচ্ছিল্য করছি। প্রকৃতির তা-ব সে জন্য এখন আমাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। যতদূর জানি, এসব প্রাণীকে খাদ্যহীন করে, অসুস্থ করে লোকালয়ে ছেড়ে দেওয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয় না। আইন বা শাস্তির বাইরেও কি মানবিকতা বলে কিছু নেই? ওরা কি আমাদের আরেকটু মনোযোগ, আরেকটু যতœ পেতে পারে না?’
এদিকে, করোনার জন্য সিনেমার শ্যুটিং করতে পারছেন না জয়া আহসান। বিশেষ করে ভারতে তার অনেকগুলো সিনেমার কাজ আটকে আছে। জয়া বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর মাঝে সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছিল। তখন অনেকেরই কাজে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বহুগুণ বেড়ে যায়। লকডাউন ঘোষণা করে ভারত সরকার। বাতিল হয়ে যায় সব শিডিউল। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তির অপেক্ষায় আছে আমার অভিনীত অনেকগুলো ছবি। একাধিক নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আছি। লকডাউনের কারণে সেগুলোর শ্যুটিং হচ্ছে না। কবে শুরু হবে, তাও অনিশ্চিত। তবে শুটিং-পূর্ববর্তী কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছি। আপাতত চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রি-প্রোডাকশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা অনেকটা দালানের ভিতের মতো। চিত্রনাট্য পড়া, ভিডিও কলে মিটিং করতে হচ্ছে।’
তবে ছোট শিডিউলের কাজগুলো করছেন তিনি। সম্প্রতি আদনান আল রাজীবের পরিচালনায় দেয়ালের রঙের একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। জয়া বলেন, ‘এটিই আদনানের পরিচালনায় আমার প্রথম কাজ। তিনি আমাদের দেশের অন্যতম মেধাবী বিজ্ঞাপন নির্মাতা। কাজটি জেনে-বুঝেই করেন। আমার কাজের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। প্রচারের পর দর্শক সাড়াও দারুণ। এই বিজ্ঞাপনে আমাকে একজন নায়িকা হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই অনেকবার লুক পরিবর্তন করতে হয়েছে। দর্শক প্রতিটি লুকের আলাদা প্রশংসা করছে। শৈল্পিকভাবেই পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।’
সম্প্রতি সরকারি অনুদানের সিনেমার তালিকায় প্রযোজক হিসেবে রয়েছে জয়া আহসানের নামও। তিনি ‘রইদ’ নামের একটি সিনেমার জন্য এই অনুদান পেয়েছেন। এটি নির্মাণ করবেন মেধাবী নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। এর আগেও জয়া হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ছবিটি নির্মাণ করে শুধু মুক্তিই দেননি। ছবিটি সে বছর অন্যতম সফল ছবির একটি। তাই জয়া প্রযোজিত দ্বিতীয় সিনেমাটি নিয়েও আশায় বুক বেঁধেছেন সিনেমাপ্রেমীরা। কিন্তু এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ তিনি। দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি আনন্দিত ও সম্মানিত যে দ্বিতীয়বারের মতো আমার পছন্দের চিত্রনাট্যকে সরকার অনুদানের জন্য যোগ্য মনে করেছে। এর ফলে আমার আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হবে। কারণ একটি ভালো সিনেমা বানানোর জন্য যে অর্থ দরকার তা আমার একার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা সিনেমায় ইনভেস্ট করতে চায় না। দেবী প্রযোজনা করার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। কিন্তু অনেকেই আমাকে মুখের ওপর না করে দিয়েছে। পরে সরকারি অনুদান ও নিজে মিলে কাজটি তুলে আনি। এবারও সেভাবে কাজ করব। এখন চিত্রনাট্য তৈরির কাজ চলছে। শুধু পরিচালক ছাড়া আর কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আমি সেখানে অভিনয় করব কি না, সে বিষয়েও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সঠিক সময়ে সবাইকে জানিয়েই কাজটি করব।’ এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ই
[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]
এদিকে, করোনার জন্য সিনেমার শ্যুটিং করতে পারছেন না জয়া আহসান। বিশেষ করে ভারতে তার অনেকগুলো সিনেমার কাজ আটকে আছে। জয়া বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর মাঝে সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছিল। তখন অনেকেরই কাজে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বহুগুণ বেড়ে যায়। লকডাউন ঘোষণা করে ভারত সরকার। বাতিল হয়ে যায় সব শিডিউল। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তির অপেক্ষায় আছে আমার অভিনীত অনেকগুলো ছবি। একাধিক নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আছি। লকডাউনের কারণে সেগুলোর শ্যুটিং হচ্ছে না। কবে শুরু হবে, তাও অনিশ্চিত। তবে শুটিং-পূর্ববর্তী কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছি। আপাতত চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রি-প্রোডাকশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা অনেকটা দালানের ভিতের মতো। চিত্রনাট্য পড়া, ভিডিও কলে মিটিং করতে হচ্ছে।’
তবে ছোট শিডিউলের কাজগুলো করছেন তিনি। সম্প্রতি আদনান আল রাজীবের পরিচালনায় দেয়ালের রঙের একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। জয়া বলেন, ‘এটিই আদনানের পরিচালনায় আমার প্রথম কাজ। তিনি আমাদের দেশের অন্যতম মেধাবী বিজ্ঞাপন নির্মাতা। কাজটি জেনে-বুঝেই করেন। আমার কাজের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। প্রচারের পর দর্শক সাড়াও দারুণ। এই বিজ্ঞাপনে আমাকে একজন নায়িকা হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই অনেকবার লুক পরিবর্তন করতে হয়েছে। দর্শক প্রতিটি লুকের আলাদা প্রশংসা করছে। শৈল্পিকভাবেই পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।’
সম্প্রতি সরকারি অনুদানের সিনেমার তালিকায় প্রযোজক হিসেবে রয়েছে জয়া আহসানের নামও। তিনি ‘রইদ’ নামের একটি সিনেমার জন্য এই অনুদান পেয়েছেন। এটি নির্মাণ করবেন মেধাবী নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। এর আগেও জয়া হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ছবিটি নির্মাণ করে শুধু মুক্তিই দেননি। ছবিটি সে বছর অন্যতম সফল ছবির একটি। তাই জয়া প্রযোজিত দ্বিতীয় সিনেমাটি নিয়েও আশায় বুক বেঁধেছেন সিনেমাপ্রেমীরা। কিন্তু এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ তিনি। দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি আনন্দিত ও সম্মানিত যে দ্বিতীয়বারের মতো আমার পছন্দের চিত্রনাট্যকে সরকার অনুদানের জন্য যোগ্য মনে করেছে। এর ফলে আমার আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হবে। কারণ একটি ভালো সিনেমা বানানোর জন্য যে অর্থ দরকার তা আমার একার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা সিনেমায় ইনভেস্ট করতে চায় না। দেবী প্রযোজনা করার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। কিন্তু অনেকেই আমাকে মুখের ওপর না করে দিয়েছে। পরে সরকারি অনুদান ও নিজে মিলে কাজটি তুলে আনি। এবারও সেভাবে কাজ করব। এখন চিত্রনাট্য তৈরির কাজ চলছে। শুধু পরিচালক ছাড়া আর কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আমি সেখানে অভিনয় করব কি না, সে বিষয়েও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সঠিক সময়ে সবাইকে জানিয়েই কাজটি করব।’ এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ই
[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]