ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী বীণা কাপুর নিজ ছেলের হাতে খুন হয়েছেন। তার ছেলে শচীন কাপুর সম্পত্তির জন্য মাকে বেসবল ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন। এ আঘাতেই বীণা কাপুরের মৃত্যু হয়। এমন খবর বের হয় ভারতীয় গণমাধ্যমে। এরপর তদন্তেও নামে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন পর ছেলের হাত ধরেই থানায় হাজির হন তিনি। জানান, তিনি মরেননি, বেঁচে আছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বলিউড হাঙ্গামার।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, সত্যিই এক বীণা কাপুর খুন হয়েছেন, তবে তিনি সেই বীণা কাপুর নন। নাম এবং পদবি এক হওয়ার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিজের অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্খীদের কোনোরকম গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। বীণা কাপুরের ছেলে জানান, তিনি সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করেছেন, এমন রটনা শুনে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন। তবে মুম্বাই পুলিশ এই কঠিন সময়ে সবরকম সহযোগিতা করেছেন বলে জানালেন অভিনেত্রীর পুত্র। তাদের অভিযোগ জমা নেওয়ার পাশাপাশি সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জানান, এই ঘটনার তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। কে বা কারা এমন ভুয়া খবর রটিয়েছে তার সঠিক তদন্ত চান তিনি।
এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছিল, ছোট ছেলে শচীন কাপুরের কাছে থাকতেন বীণা কাপুর। অনেক দিন ধরে প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে মা বীণা কাপুরের সঙ্গে ছোট ছেলের ঝামেলা হচ্ছিল। তারই জেরে বেসবল ব্যাট দিয়ে ক্রমাগত পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তার ছোট ছেলে শচীন কাপুর। বীণার মৃত্যু নিশ্চিত করার পর প্লাস্টিকের ব্যাগে করে লাশ রায়গড়ের জঙ্গলের মাথেরান নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ করেন বীণা কাপুরের সহ-অভিনেত্রী নীলু।এরপর থেকে বিনোদনজগতে তোলপাড় শুরু হয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস