বিনোদন

শমিতা শেট্টির না পাওয়ার যন্ত্রণা

যশ রাজ ফিল্মসের ‘মহব্বতে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন শমিতা শেট্টি, যে ছবিতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান আর ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মতো তারকারা। আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এই ছবি দিয়ে আইফা পুরস্কারও জয় করেছিলেন শমিতা। বলা যায়, বলিউড অভিনেত্রীর অভিষেকটা বেশ জাঁকালোই হয়েছিল। কিন্তু যশ রাজ ফিল্মসের মতো ব্যানারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি, সূচনাতেই তাঁর ক্যারিয়ারের ভরাডুবি হয়েছিল। সময়ের স্রোতে বিটাউন থেকে হারিয়েও গিয়েছিলেন। নতুন খবর, ১৬ বছর পর আবার বড় পর্দায় ফিরলেন শমিতা। তাঁকে সম্প্রতি ‘দ্য টেন্যান্ট’ ছবিতে দেখা গেছে। এই ছবির মুক্তি উপলক্ষে সম্প্রতি নিজের না পাওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে নানা কথা বলেছেন শমিতা। তাঁর ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যশ রাজের সঙ্গে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। কিন্তু এরপরও আমাকে যেসব ছবির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল, তা একদমই আমার আশানুরূপ ছিল না। ‘মহব্বতে’ আর ‘জ্যাহের’ ছবির সময় আমি অনুভব করি যে অভিনয় করাটা আমি কতটা উপভোগ করি। আর কাজের প্রতি তখন একটু লোভী হয়ে পড়েছিলাম। আরও বেশি করে কাজ করতে চাইতাম। কিন্তু অভিজ্ঞতা অন্য রকম, ইন্ডাস্ট্রি আমাকে কাজ দিচ্ছিল না। আমি তখন যা চেয়েছিলাম, তার কিছুই হচ্ছিল না।’ এই বলিউড অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এই ইন্ডাস্ট্রিতে ২০ বছরের বেশি সময় পার করে ফেলেছি। আর আমার ভ্রমণ মোটেও সহজ ছিল না। সব সময় অর্থই সবকিছু নয়। নিজের শিল্পীসত্তা প্রকাশ করতে চান একজন শিল্পী। কিন্তু নিজের প্রতিভা দেখানোর যথেষ্ট সুযোগ আমি পাইনি। কারণ, অনেক কষ্টেসৃষ্টে আমার একটা ছবি মুক্তি পেত।’ তিনি বলেন, ‘সব সময় দু-তিন বছরের ব্যবধানে আমার পরবর্তী ছবি মুক্তি পেত। আমার গায়ে অনায়াসে “কামব্যাক” তকমাটা লাগিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারতাম না, এর মধ্যে “কামব্যাক” কোথায়!’ শমিতা মনে করেন, এবার আর তাঁকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আশা করি মানুষ আমার প্রতিভা এবার দেখতে পাবেন। আর আগামী দিনে আমি ভালো ভালো কাজ পাব। এখনো আমি কাজের জন্য লোভী। এখনো আমার অনেক কিছু করার বাকি আছে। আমার নিজের প্রতি আর নিজের প্রতিভার প্রতি আস্থা আছে। আমি সব সময় আশাবাদী। একবার আশা ছেড়ে দিলে আর এগোতে পারব না।’ ‘টেন্যান্ট’-এর আগে ‘ক্যাশ’ ছবিতে শমিতাকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল। ছবিটি ২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল।  


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস