বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান
গেয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন ভারতীয়
শিল্পী কে কে। আগেও কয়েকবার
বাংলাদেশে এসেছেন। বলিউডের
জনপ্রিয় এই গায়ককে নিয়ে
লিখেছেন মোহসেনা জয়া
‘কী খবর ঢাকা, কেমন আছেন?’ ২০
নভেম্বর বিপিএলের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে এভাবেই
দর্শক-শ্রোতাদের খোঁজ নেন
ভারতের কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। যিনি কে
কে নামেই বেশি পরিচিত। হৃতিক
রোশান ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের
সঙ্গে বিপিএল মাতাতে ঢাকায়
এসেছিলেন। মিরপুর শেরেবাংলা
জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মঞ্চে
ওঠেন রাত ৮টা ১০ মিনিটে। শুরু করেন
‘ক্যা মুঝে পায়ার হ্যায়’ দিয়ে। এরপর
ধরেন ‘বাঁচনা হে হাসিনো’ ছবির
‘খোদা জানে’। পরিবেশনার
তালিকায় ছিল গ্যাংস্টার ছবির ‘তুহি
মেরে সব হে’, জান্নাত ছবির ‘জারা
সা’, বজরঙ্গি ভাইজান ছবির ‘তু জো
মিলা’, ডন ছবির ‘ম্যা হু ডন’ গানও। বাদ
যায়নি হাম দিল দে চুকে সনম ছবির
‘তারাপ তারাপ’, নিউ ইয়র্ক ছবির ‘হ্যা
জুনুন’, গুন্ডে ছবির ‘ও শোনা’, দেশি
বয়েজ ছবির ‘দেশি বয়েজ’ গানগুলোও।
মঞ্চ ছাড়ার আগে ধরেন নগর বাউল
জেমসের ‘আলবিদা’। একে একে ১২টি
গান পরিবেশন করে স্টেজ ছাড়েন কে
কে।
আগেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে
এসেছিলেন কে কে। গত এপ্রিলে
এসেছিলেন রুনা লায়লার
সংগীতজীবনের ৫০ বছর পূর্তি
উপলক্ষে আয়োজিত ‘সেলিব্রেশন অব
মিউজিক’ অনুষ্ঠানে গাইতে। সে
অনুষ্ঠানেও অনেক প্রশংসা কুড়ান।
বলিউডের ছবিতে কে কের গাওয়া
জনপ্রিয় গানের সংখ্যা অনেক।
বরাবরই তাঁর গানে মুগ্ধ উপমহাদেশের
অগণিত শ্রোতা।
এ আর রহমান, বিশাল ভরদ্বাজ,
ইসমাইল সরকার, সেলিম-সুলাইমান,
বিশাল-শেখর, যতিন-ললিত, আনু
মালিক, আদেশ শ্রীবাস্তব, শঙ্কর-
এহসান-লয়, আনন্দ রাজ আনন্দ, হরিস
জয়রাজ, সঞ্জীব দর্শন, আনন্দ-মিলিন্দ,
জিৎ গাযউলী-প্রীতম চক্রবর্তী,
রাজেশ রোশন, সন্দেশ শান্দিলিয়া,
নাদিম-শ্রাবণ, হিমেশ রেশমিয়া,
সাজিদ-ওয়াজিদ, শান্তনু মৈত্রীর
মতো জনপ্রিয় ও গুণী সংগীত
পরিচালকদের সুরে গেয়েছেন তিনি।
হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু,
কান্নাড়া, মালয়ালাম, মারাঠি
ছবিতেও কণ্ঠ দিয়েছেন।
৪৫-এ পা দেওয়া প্লেব্যাক সিংগার
কে কের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতের
রাজধানী নয়াদিল্লিতে। দিল্লি
ইউনিভার্সিটি থেকে বাণিজ্যে
গ্র্যাজুয়েশন করা এই গায়ক ১৯৯৪
সালে ফিল্মসিটি মুম্বাই আসেন
সংগীত ক্যারিয়ারের পালে নতুন
হাওয়া লাগাতে। ১৯৯৯ সালের
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় ভারতীয়
ক্রিকেট দলকে সমর্থন করে একটি
গান গেয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর
অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিতে গান গাওয়ার
সুযোগ পান। তাঁর আলোচিত ও জনপ্রিয়
গানের মধ্যে আরো রয়েছে-‘তুনে
মারি এন্ট্রি ইয়ার’, ‘ইন্ডিয়া ওয়ালে’,
‘তো জো মিলা’, ‘পিয়া আয়ে না’,
‘তুজে সোচতা হো’, ‘আই অ্যাম ইন লাভ’,
‘ও মেরি জান’, ‘আঁখো ম্যায় তেরির’
প্রভৃতি।
ভারতের আলোচিত ফিল্মফেয়ার
অ্যাওয়ার্ডের জন্য ২০০০,
২০০৩-০৫-০৬-০৮ ও ২০০৯ সালে মনোনীত
হয়েছিলেন। ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে
জিতে নিয়েছেন স্ক্রিন
অ্যাওয়ার্ডস। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র
থেকে জিতেছেন গলদি ফিল্ম
অ্যাওয়ার্ডস। অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন
তামিল ও মালয়ালাম ভাষার গানেও।
বর্তমানে কাজ করছেন জিৎ গাঙ্গুলীর
‘লাভ অ্যাফেয়ার’, ‘জিসেম-থ্রি’,
বিপিন পাতওয়া, বিজু সাহ, অর্ক প্রভ
মুখার্জির সঙ্গে। বলিউডের ছবিতে
গেয়েছেন কলকাতার শিল্পী
প্রীতমের সঙ্গেও। স্ত্রী জ্যোতি,
মেয়ে তামারা ও ছেলে নকুল
কৃষ্ণাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে
আসতে চান কে কে। বাংলাদেশের
আতিথেয়তার কথা বারবার বলে
গেছেন তাঁর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে।