ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের দায়ের কর মামলায় শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতার হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এরপর তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারাগারেও পাঠানো হয়। তবে বিকালেই জামিন দেওয়া হয়েছে এ নায়িকাকে। এদিকে জামিনের পর মাহির প্রসঙ্গে সরব হলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বছর দেড়েক আগে তিনি র্যাবের দায়ের করা মামলায় কারাভোগ করেছিলেন। ফলে তার বার্তা-প্রতিবাদ বিশেষত্ব বহন করে।
পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাহির একটি ছবি পোস্ট করে পরী লিখেছেন, ‘এইটা কোনও কথা না ভাই। চুপ করে থাকতে থাকতে কখন যে বোবা হয়ে যাবো আমরা! দেখছেন মাহির দিকে? বুক কাঁপলো না আপনাদের! একজন অন্তঃসত্ত্বার এই শারীরিক ও মানসিক ধকলের দায়ভার কে নিচ্ছে তাহলে!’ সবশেষে পরীর দাবি, ‘আইনের এই খেলা বন্ধ হোক। মাহিকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক।’
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত মাহিয়া মাহির জামিন মঞ্জুর করেন। একই আদালত তাকে দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। জামিন শুনানিতে মাহিয়া মাহির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার সাদাত, অ্যাডভোকেট রিপন চন্দ্র সরকার এবং অ্যাডভোকেট নবীজুল ইসলাম। পরে অ্যাডভোকেট আনোয়ার সাদাত সাংবাদিকদের জানান, মাহির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলাতেই জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এখন মুক্তির প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, মাহি বর্তমানে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সম্প্রতি তিনি ওমরা করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ তোলেন, গাজীপুরে অবস্থিত তাদের গাড়ির শো-রুমে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তারা। এদিন রাতেই মাহি-রকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেই সূত্রে দেশে ফেরা মাত্রই মাহিকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্টে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানানো হয়। পরবর্তীতে পরীকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার এবং তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে অবশ্য তিনি সে মামলায় জামিন পেয়েছেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস