বিনোদন

অন্তঃসত্ত্বা না হওয়ার শর্তে সই করেছিলেন মাধুরী

দেখতে দেখতে ৫৬ বছর পার করলেন বলিউডের অন্যতম নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। সোমবার (১৫ মে) ছিল মাধুরী দীক্ষিতের জন্মদিন। ‘চিরসবুজ’ মাধুরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন না, এমন দর্শক বিরল। বলিউডের অসংখ্য আইকনিক গান ‘জীবন্ত’ হয়েছে তার নাচে। ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তার। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ ছবির মাধ্যমে দর্শকমহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলে দেন এই অভিনেত্রী। এই ছবি দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর নমিনেশন পান। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া খলনায়ক সিনেমা ছিল ওই বছরের সবচেয়ে হিট। অথচ ‘খলনায়ক’ ছবিতে অভিনয় করার সময় বেশ কিছু শর্ত মেনে কাজ করতে হয়েছিল মাধুরীকে। নির্মাতারা মাধুরীকে জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না। কারণ সে সময় ছবির নায়ক সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ছিল মাধুরীর সম্পর্কের গুঞ্জন। এমনকি চুক্তিপত্রও সই করতে হয়েছিল মাধুরীকে। জানা যায়, ছবির শুটিং চলাকালীন বিয়ে করা যাবে না, অন্তঃসত্ত্বা হওয়াও যাবে না। ছবির শুটিং চলাকালীন প্রথম কোনো প্রযোজক এমন চুক্তিপত্রে সই করিয়েছিলেন নায়িকাকে। আর কারণটা ছিল সঞ্জয় দত্ত। সজন, থানেদার ও খলনায়কসহ একাধিক ছবিতে মাধুরীর সঙ্গে কাজ করার সময় তার প্রেম হাবুডুবু খেয়েছেন সঞ্জয়। গুঞ্জন ছিল যেকোনো সময় মাধুরীকে বিয়ে করতে পারেন সঞ্জয়। আর সে কারণেই নাকি মাধুরীকে দিয়ে এমন চুক্তিপত্রে সই করিয়েছিলেন খলনায়ক নির্মাতারা। বক্স অফিসে অবশ্য ছবিটি সুপারহিট হয়। এদিকে সঞ্জয় দত্ত যখন মাধুরীর প্রেমে মশগুল, তখন তিনি তার প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার সঙ্গে বিবাহিত। রিচা ছিলেন অসুস্থ, মস্তিষ্কে টিউমারের অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি নিউইয়র্কে ছিলেন। তারই মাঝে মাধুরীর কাছাকাছি এসেছিলেন সঞ্জয়। আবার ১৯৯৩ সালে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হন সঞ্জয়। এ ঘটনায় মাধুরী আর সঞ্জয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মাধুরীর এমন ব্যবহারে সঞ্জয় দত্ত আঘাত পেয়েছিলেন বলেও শোনা গিয়েছিল। এত কিছুর পরেও সঞ্জয় দত্ত বা মাধুরী দীক্ষিত কোনোদিনই তাদের প্রেমের কথা স্বীকার করেননি। বর্তমানে চিকিৎসক শ্রীরাম নেনের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন মাধুরী দীক্ষিত।

  এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস