বিনোদন

মারা গেছেন কৃষ্ণাঙ্গ-ব্রিটিশ নির্মাতাদের পথিকৃৎ

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ‘ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো’তে তার জন্ম। জাতিগত বৈশিষ্ট্যে গায়ের রঙ কালো। পশ্চিমা বিশ্বে তখনও কৃষ্ণাঙ্গদের অবস্থান তলানিতে। ওই সময়ে ব্রিটেনে বসে আস্ত সিনেমা বানানোর সাহস দেখিয়েছিলেন যিনি, সেই নির্মাতা হোরেস ওভে আর নেই। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মারা গেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। খবরটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছেন নির্মাতার পুত্র জ্যাক। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রিয় বাবা আজ ভোর সাড়ে চারটায় ঘুমের ভের শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। অনেক বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াইয়ের পর অবশেষে তিনি মুক্ত হয়েছেন। তুমি সবসময় মনে পড়বে বাবা, এবং সর্বদা তোমাকে ভালোবাসবো। শান্তিতে থাকো। আর হ্যাঁ, আমাদের জন্য যা করেছো, তার জন্য ধন্যবাদ।’ হোরেস ওভে’কে বলা হয় কৃষ্ণাঙ্গ-ব্রিটিশ নির্মাতাদের পথিকৃৎ। কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে তিনিই প্রথম ব্রিটিশ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। ‘প্রেশার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৬ সালে। সিনেমার শতবর্ষ পূর্তিতে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘নিঃসন্দেহে হোরেস ওভে কৃষ্ণাঙ্গ ব্রিটিশ নির্মাতাদের পথিকৃৎ। তার কাজ ব্রিটিশ সিনেমায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গির উন্মোচন করেছে।’ ১৯৩৬ সালের ৩ ডিসেম্বর হোরেস ওভের জন্ম। ২৪ বছর বয়সে তিনি জন্মভূমি ছেড়ে ব্রিটেনে আসেন পড়াশোনার জন্য। ১৯৬৩ সালে সিনেমার এক্সট্রা আর্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তার প্রথম এক্সট্রা কাজ ছিল বিখ্যাত ‘ক্লিওপেট্রা’ সিনেমায়। ‘দ্য আর্ট অফ দ্য নিডল’ নামের শর্টফিল্ম দিয়ে হোরেস ওভের নির্মাণ ক্যারিয়ারের সূচনা। এরপর আরও কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য ও তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন তিনি। অবশেষে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার সবচেয়ে আলোচিত এবং প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘প্রেশার’। হোরেস ওভে নির্মিত অন্যান্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘ব্যাল্ডউইন্স নিগার’, ‘ড্রিম টু চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’, ‘প্লেয়িং অ্যাওয়ে’; এছাড়া তার তথ্যচিত্র ‘রেগে’ ও ‘স্কেটবোর্ড কিংস’ও কালজয়ী নির্মাণ। ২০২২ সালে ব্রিটিশ সম্মান ‘নাইটহুড’সহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন এই নন্দিত নির্মাতা। এলএবাংলাটাইমস/এজেড