বিনোদন

মিশুক মুনীরের স্মৃতি ফিল্ম আর্কাইভে

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সিনেমাটোগ্রাফার মিশুক মুনীরের ব্যবহৃত ক্যামেরা ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এখন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে। ফিল্ম মিউজিয়ামে সংরক্ষণের জন্য মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলি কাজী তাঁর সংগ্রহে থাকা এসব জিনিস আজ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন। সোমবার মঞ্জুলি কাজী তাঁর স্বামী প্রয়াত মিশুক মুনীরের ব্যবহৃত ক্যামেরা, বিভিন্ন লেন্স, ফ্ল্যাশগান, ওহম মিটার, স্লাইড, ফটো অ্যালবাম, ক্যামেরার ম্যাগনেটিক, ছোট ব্যাটারিচালিত লাইট, পাসপোর্ট, আইডি কার্ড, দুর্লভ পকেটঘড়ি, হাতঘড়ি ও নেগেটিভ রাখার কাচের জার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে দান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ফারহানা রহমান, উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক, চলচ্চিত্র কর্মকর্তা মো. ফখরুল আলম প্রমুখ। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রয়াত মিশুক মুনীর শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে টেরিস্ট্রিয়াল ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির বার্তাপ্রধান এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের গণ্ডি ছাপিয়ে বিদেশেও সাংবাদিক ও সম্প্রচারপ্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। ২০০৭ সালে কানাডার সাংবাদিক পল জোয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন আন্তর্জাতিক সংবাদ টেলিভিশন রিয়েল নিউজ নেটওয়ার্ক। কানাডার টরন্টোর ব্রেকথ্রো ফিল্মস, জে ফিল্মস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্স ভিডিওগ্রাহক ও প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি কাজ করেন বিবিসির ভিডিও গ্রাহক হিসেবে। নির্মাণ করেন বিভিন্ন ধরনের প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ‘রিটার্ন টু কান্দাহার’, ‘রানওয়ে’, ‘মাটির ময়না’, ‘মুক্তির গান’ উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অন্যতম এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বাংলাদেশের এই অনন্য প্রতিভা তারেক মাসুদের পরিচালনায় নতুন ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শ্যুটিং লোকেশন দেখতে গিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওরে ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এলএবাংলাটাইমস/এজেড