বিনোদন

অস্কারজয়ী ব্রি লারসনের সেরা দশ

এখনো বইছে অস্কার পুরস্কারের গরম হাওয়া। ৮৮তম অস্কার আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তুলেছেন ব্রি লারসন। ‘রুম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এ পুরস্কার জিতেছেন আমেরিকান এ অভিনেত্রী।

 তবে এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শুধু অস্কারই জিতেননি, জিতে নিয়েছেন ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, ক্রিটিক চয়েজ মুভি অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড, নিউ ইর্য়াক ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক দেশের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। তাই অভিনয়ের পাশাপাশি গান করলেও বর্তমানে লারসন হয়ে উঠেছেন সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী।

 ২৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী শুধু যে, রুম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শক মনে সাড়া ফেলেছেন তা নয়, অনেক চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘স্পেশাল ডেলিভারি’-তে (১৯৯৯) সেই আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন লারসন। তাই রুম ছাড়াও ব্রি লারসনের অন্য দশ সফল সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন।

 

১৩ গোয়িং অন ৩০ : রোমান্টিক কমেডি ঘরানার এই চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালে আমেরিকায় ‘১৩ গোয়িং অন ৩০’ নামে মুক্তি পেলেও একই বছর অস্ট্রেলিয়াতে ‘সাডেনলি ৩০’ নামে মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটি। গ্রে উইনিক পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে সিক্স চিক চরিত্রে দেখা যায় লারসনকে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে একাধিক ব্যক্তি হওয়ার পরও লারসন দর্শকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।

 
স্লিপভার : জো নাসাম পরিচালিত কিশোর-কিশোরীদের অন্যতম প্রিয় চলচ্চিত্র স্লিপভার মুক্তি পায় একই বছর অর্থাৎ ২০০৪ সালে। টিনএজারদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয় চলচ্চিত্রটিতে। এতে লিজ ড্যানিয়েল চরিত্রে অভিনয় করেন লারসন। মাত্র ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি প্রায় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।

 
হুট : কমেডিতে ভরপুর ‘হুট’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। কমেডি ঘরানার চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নির্মাতা উইল স্রাইনার পরিচালিত এই সিনেমায় ‘দ্য বিয়ার’ চরিত্রে অভিনয় করেন লারসন। ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি প্রায় ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল।

 
 ট্যানার হল : ঘরোয়া অনেক বিষয়কে উপজীব্য করে নির্মিত ‘ট্যানার হল’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এই সিনেমায় নিজেকে অনন্যরূপে তুলে ধরার জন্য লারসন দর্শকদের মনে দাগ কাটতে সক্ষম হন। তাতিয়ানা ভন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে ‘কেট’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ব্রি লারসন।

 
গ্রিণ বার্গ : ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান কমেডি চলচ্চিত্র গ্রিণ বার্গে অভিনয় করেছিলেন একঝাক জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরা। সেখানে ব্রি লারসনকে দেখা গিয়েছিল ‘সারা’ চরিত্রে। সিনেমাটি পরিচালনা করেন নোয়াহ বোম্বাচ। চিত্রনাট্য এবং অভিনয় গুণে একাধিক পুরস্কার জিতলেও চলচ্চিত্রটি দর্শকপ্রিয়তা পায় নি। তাই এ চলচ্চিত্রের নাম লেখা হয় ফ্লপের খাতায়। তবুও চলচ্চিত্রটির চরিত্র এবং অভিনয়ের জন্য ব্রি লারসন বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করেন।

 
দ্য ট্রাবল অব ব্লিস : ২০১২ সালে মুক্তি পায় লারসন অভিনীত আমেরিকান ড্রামা ফিল্ম ‘দ্য ট্রাবল অব ব্লিস’।  চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মিশেল নোলেস। দুইটি সংসারের আলাদা আলাদা দ্বন্দ্ব এই চলচ্চিত্রের উপজীব্য। লারসন এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে আলাদাভাবে প্রামানের সুযোগ পেয়েছিলেন।

 

ডন জন : খুব অল্প বাজেটের চলচ্চিত্র ‘ডন জন’। মাত্র ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেন জোসেফ গর্ডন লেভিট। এতে মনিকা মারতেলো চরিত্রে দেখা যায় লারসনকে। মাত্র ৯০ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। মুক্তির অল্প কিছুদিনের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে এ চলচ্চিত্রটি।

 
দ্য স্পেক্টেকুলার নাউ : জেমস পনসল্ড পরিচালিত রোমান্টিক ঘরানার চলচ্চিত্র ‘দ্য স্পেক্টেকুলার নাউ’ মুক্তি পায় ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে। এতে ‘ক্যাসিডি’ চরিত্রে অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন লারসন। মাত্র ৯৫ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি প্রায় ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে সক্ষম হয়।

 
দ্য গামব্লার : ক্রাইম ঘরানার গল্প নিয়ে নির্মিত হয় ‘দ্য গামব্লার’ চলচ্চিত্র। এর  মাধ্যমে প্রথমবার এই ঘরানার গল্পের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন লারসন। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন জন গডম্যান, কে উইলিয়ামসের মতো অভিনয়শিল্পীরা। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালের নভেম্বরে। ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি বছর যেতে না যেতেই প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল।


ট্রেইনরিক : গত বছর মুক্তি পেয়েছে রোমান্স এবং কমেডি ঘরানার চলচ্চিত্র ট্রেইনরিক । খুব অল্প সময়ে বিভিন্ন দেশের একাধিক পুরস্কার ঘরে তুলে চলচ্চিত্রটি। সঙ্গে ব্যবসায়ীকভাবেও সাফল্য অর্জন করে লারসন অভিনীত এই চলচ্চিত্র। এতে ব্রি লারসন অভিনয় করেছিলেন ‘কিম টাউনসেন্ড’ চরিত্রে। জাড আপাতউয়ের পরিচালনায় মাত্র ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি বক্স অফিস মাতিয়ে আয় করেছিল প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।