বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার।
আজ সোমবার হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তাকে জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত তাকে টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০) মিছিলে অংশ নেন। ওই দিন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে উত্তরা পূর্ব থানার আজমপুর এলাকায় মিছিলের সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে জুবায়েরের বাঁ কাঁধে আঘাত লাগে, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
এরপর ২২ আগস্ট জুবায়ের উত্তরা পূর্ব থানায় ১১ জনকে এজাহারনামী এবং ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন, যেখানে অভিনেত্রী শমী কায়সার সন্দিগ্ধ।
গত ৮ ডিসেম্বর সে মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন শমী কায়সার। শুনানি শেষে তিন মাসের জামিন পান। তবে ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত জামিন স্থগিত করেন।
অভিনেত্রীকে ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরদিন ৬ নভেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
নব্বইয়ের দশকের প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী শমী কায়সারের পিতা শহীদুল্লাহ কায়সার এবং মাতা পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস