বিনোদন

পঞ্চাশ বছরের সংগীতযাত্রায়ও শেখা চলছে: নকীব খানের অনুভব

‘৫০ বছর ধরে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া অনেক বড় বিষয়। গান দিয়ে আমি সেই জায়গা পেয়েছি। মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’ নিজের সংগীতজীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘নকীব খান ফিফটি ইয়ারস সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠান কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত সুরকার, কণ্ঠশিল্পী নকীব খান। সংগীতজীবনের নানা অভিজ্ঞতার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই তো সেদিন সংগীতজীবন শুরু করেছি। এই দীর্ঘ সময় টিকে থাকা অনেক বড় ব্যাপার। স্রষ্টার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। এটা যেন গর্বের বিষয় না হয়ে যায়। আমি যেন আরও কিছু করতে পারি। এখনও শিখছি, চেষ্টা করছি। আমি কোনো পেশাদার শিল্পী নই। গাইতে গাইতে গায়েন হয়েছি। কিছুই করতে পারিনি জীবনে।’ টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (টিজেএফবি) উদ্যোগে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম, ফেরদৌস ওয়াহিদ, বাপ্পা মজুমদার, মামুন আশরাফ, সাংবাদিক রফিকুজ্জামান, নকীব খানের ভাই জালাল উদ্দিন জিলু, সাবেক সচিব মার্গুব মোর্শেদ ও ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবদুল হাদী, শওকত আলী ইমন, রবি চৌধুরী, ন্যান্সি, মিল্টন খন্দকার, ফোয়াদ নাসের বাবু, আসিফ ইকবালসহ অনেকেই। বর্ষীয়ান কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম বলেন, “সুরকার, কণ্ঠশিল্পী নকীব খান প্রতিষ্ঠিত। আমি তার জনপ্রিয় একটি গান ‘আজকের শিশু’ গেয়েছি। সে হিসেবে আমি ভাগ্যবান। সংগীতে এতো ভদ্র মানুষ আমি দেখিনি। আমি তার সুস্বাথ্য কামনা করি।” নকীব খানকে কাজ পাগল মানুষ উল্লেখ করে রফিকুল আলম বলেন, ‘তার জীবনের ৫০ বছর নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ৪-৫টি সেমিনারেও শেষ কবে না। তিনি বহু পরিচয়ের মানুষ। চাকরি করে এতকিছু সামাল দেওয়া শুধু তার পক্ষেই সম্ভব।’ অনুষ্ঠানে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে নকীব খান প্রথমেই গেয়ে শোনান ‘মাটি ছুঁয়ে’ গানটি। এরপর নকীব খান একে একে পরিবেশন করেন ‘ও নদীরে’, ‘তুমি তো পটে আঁকা কোনো ছবি নয়’সহ কয়েকটি গান। এ ছাড়া পার্থ বড়ুয়া, সাব্বির জামানসহ অনেকেই গান গেয়ে শোনার ওই আয়োজনে। টিজেএফবির সভাপতি রেদুয়ান খন্দকার বলেন, ‘নকীব খান আমাদের সংগীতজগতের একজন কিংবদন্তি। তাঁর ক্যারিয়ারের ৫০ বছর উদ্‌যাপনের এ আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ বালার্ক ব্যান্ডের গায়ক, পিয়ানো শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা নকীব খান ১৯৭৪ সালে সোলস ব্যান্ডে যোগ দেন। প্রায় ১০ বছর সোলসে থেকে বাবা মৃত্যুর পর ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ‘রেনেসাঁ’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন এবং তখন থেকেই ব্যান্ডের মাধ্যমে শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়াতে থাকেন। চলতি বছর তাঁর সংগীতজীবনের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে নকীব খানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।   এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস