গিটার, গিয়ার আর সেই পুরনো সমস্যা
বাংলাদেশে ভালো গিটারিস্টের অভাব কখনোই ছিল না— কিন্তু ভালো গিয়ার? সেটাই যেন বিলাসিতা। বেশিরভাগ সময় নির্ভর করতে হয় লোকাল ডিলারের উপর, আর নির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ডের গিটার বা পিকআপ চাইলে শুরু হয় ঝক্কি-ঝামেলা, অতিরিক্ত দাম, আর শেষে সেই পরিচিত কথা— “না, এটা বাংলাদেশে পাওয়া কঠিন।”
পশ্চিমে এনডোর্সমেন্ট সংগীতশিল্পীদের স্বীকৃতির অন্যতম মাধ্যম হলেও, এখানে তা এখনও সীমিত। ফলে প্রতিভাবান অনেক গিটারিস্টই থেকে যান অচেনা, অণুপ্রেরণাও আসে কম।
নাভিদের ব্রেকথ্রু এই বাস্তবতার মাঝেই নতুন দিশা দেখালেন নাভিদ ইমতিয়াজ চৌধুরী। সেশন প্লেয়ার ও ইনস্ট্রুমেন্টাল রক কম্পোজিশনে পরিচিত নাভিদ এবার পেলেন যুক্তরাজ্যের Alan Entwistle Pickups-এর এনডোর্সমেন্ট— বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে! “বাংলাদেশে শত শত দুর্দান্ত গিটারিস্ট আছেন, কিন্তু এনডোর্সমেন্টের সুযোগ প্রায় নেই। এটা প্রমাণ করে যে যদি তুমি নিজের কাজে লেগে থাকো, একদিন সফলতা আসবেই,” বলেন নাভিদ।
টোনের খোঁজে নাভিদের কাছে ‘টোন’ মানেই নিজস্বতা। বহু বছর নানা ব্র্যান্ডের গিটার ও পিকআপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি খুঁজে পান Alan Entwistle Nemesis সেটে তার কাঙ্ক্ষিত সাউন্ড।
“এই পিকআপগুলো মিক্সে ক্ল্যারিটি আর প্রেজেন্স—দুটোই গেম-চেঞ্জার,” জানালেন তিনি।
শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয় নাভিদের এই অর্জন কেবল তার নিজের নয়— এটি বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের জন্যও এক অনুপ্রেরণার বার্তা। এটি প্রমাণ করে, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পাওয়া অসম্ভব নয়, এমনকি নানারকম সীমাবদ্ধতার মধ্যেও।
সামনের পথ নিজের প্রজেক্ট Navid Imtiaz Chowdhury & The Astronauts থেকে শুরু করে Sin of Carnage, Defy, Aftermath— এবং মিনার রহমান ও মিফতাহ জামান-এর সঙ্গে কাজ— নাভিদ সবসময়ই সীমানার বাইরে ভাবেন। তার প্রথম একক অ্যালবাম End Notes ছিল বাংলাদেশের অল্পসংখ্যক ইনস্ট্রুমেন্টাল গিটার অ্যালবামের একটি।
এই নতুন এনডোর্সমেন্ট যেন সেই যাত্রারই স্বাভাবিক, তবু অসাধারণ পরবর্তী অধ্যায়। “এটা শুধু আমার ব্যাপার নয়,” বলেন নাভিদ। “এটা দেখানোর ব্যাপার যে বাংলাদেশি সংগীতশিল্পীরাও আন্তর্জাতিক আলোচনার অংশ হতে পারে। যদি আমার গল্প কাউকে অনুপ্রাণিত করে— সেটাই আসল জয়।”
শেষ কথা বাংলাদেশের গিটারবাশিল্পীরাও এখন হয়তো একটু বেশি আশাবাদী। নাভিদের মতো একজন শিল্পী যখন বাধা ভেঙে এগিয়ে যান, তখন পুরো প্রজন্মের হাতেই খুলে যায় নতুন সুরের দরজা— এক নতুন সূচনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম
নাভিদের ব্রেকথ্রু এই বাস্তবতার মাঝেই নতুন দিশা দেখালেন নাভিদ ইমতিয়াজ চৌধুরী। সেশন প্লেয়ার ও ইনস্ট্রুমেন্টাল রক কম্পোজিশনে পরিচিত নাভিদ এবার পেলেন যুক্তরাজ্যের Alan Entwistle Pickups-এর এনডোর্সমেন্ট— বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে! “বাংলাদেশে শত শত দুর্দান্ত গিটারিস্ট আছেন, কিন্তু এনডোর্সমেন্টের সুযোগ প্রায় নেই। এটা প্রমাণ করে যে যদি তুমি নিজের কাজে লেগে থাকো, একদিন সফলতা আসবেই,” বলেন নাভিদ।
টোনের খোঁজে নাভিদের কাছে ‘টোন’ মানেই নিজস্বতা। বহু বছর নানা ব্র্যান্ডের গিটার ও পিকআপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি খুঁজে পান Alan Entwistle Nemesis সেটে তার কাঙ্ক্ষিত সাউন্ড।
“এই পিকআপগুলো মিক্সে ক্ল্যারিটি আর প্রেজেন্স—দুটোই গেম-চেঞ্জার,” জানালেন তিনি।
শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয় নাভিদের এই অর্জন কেবল তার নিজের নয়— এটি বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের জন্যও এক অনুপ্রেরণার বার্তা। এটি প্রমাণ করে, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পাওয়া অসম্ভব নয়, এমনকি নানারকম সীমাবদ্ধতার মধ্যেও।
সামনের পথ নিজের প্রজেক্ট Navid Imtiaz Chowdhury & The Astronauts থেকে শুরু করে Sin of Carnage, Defy, Aftermath— এবং মিনার রহমান ও মিফতাহ জামান-এর সঙ্গে কাজ— নাভিদ সবসময়ই সীমানার বাইরে ভাবেন। তার প্রথম একক অ্যালবাম End Notes ছিল বাংলাদেশের অল্পসংখ্যক ইনস্ট্রুমেন্টাল গিটার অ্যালবামের একটি।
এই নতুন এনডোর্সমেন্ট যেন সেই যাত্রারই স্বাভাবিক, তবু অসাধারণ পরবর্তী অধ্যায়। “এটা শুধু আমার ব্যাপার নয়,” বলেন নাভিদ। “এটা দেখানোর ব্যাপার যে বাংলাদেশি সংগীতশিল্পীরাও আন্তর্জাতিক আলোচনার অংশ হতে পারে। যদি আমার গল্প কাউকে অনুপ্রাণিত করে— সেটাই আসল জয়।”
শেষ কথা বাংলাদেশের গিটারবাশিল্পীরাও এখন হয়তো একটু বেশি আশাবাদী। নাভিদের মতো একজন শিল্পী যখন বাধা ভেঙে এগিয়ে যান, তখন পুরো প্রজন্মের হাতেই খুলে যায় নতুন সুরের দরজা— এক নতুন সূচনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম