বিনোদন

রোহিঙ্গাদের প্রতি পপি-অপুর সমবেদনা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বর্বোরিচত নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন দেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম দুই জনপ্রিয় নায়িকা পপি ও অপু বিশ্বাস।

রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে নিজের জন্মদিনে কেক কাটার আনন্দ পরিহার করেছেন পপি। অন্যদিকে, নিজের ফেসবুক পেজে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন পপি। যেখানে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে দেশের ‘উপর মহল’র মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অপু বিশ্বাস।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ছিল চিত্রনায়িকা পপির জন্মদিন। কিন্তু তিনি জন্মদিনের কেক কাটেন নি। এ বিষয়ে দুপুরে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে পপি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সবাই যখন উদ্বিগ্ন, তখন নিজের জন্মদিন উদ্যাপনের কথা ভাবা যায়? এমন একটা সময় কীভাবে জন্মদিন পালন করি? আমি খুবই মর্মাহত। তাই এমন ঘটনায় আমি জন্মদিন পালন করব না এবং কেকও কাটব না।’

এদিকে, একই দিন সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে আবেগঘন সেই স্ট্যাটাসে অপু লিখেছেন, ‘আমার খুব বেশি ফেসবুকে আসা হয়না। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আসলে রোহিঙ্গা বিষয়ক ছবি গুলো দেখলে শরীর শিউরে উঠে। আমি রক্ত সহ্য করতে পারিনা, তার উপর এসব বিবৎস ছবি গুলো দেখে ভয়ে ফেসবুক থেকে লগআউট করি। গতকাল ফেসবুকে লগিন করতে একটা ছবিটা দেখতে পাই। ছবিটার উপর আমার চোখ আটকে যায়। এদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করি। আমারও একটা সন্তান আছে। বাংলাদেশে জন্ম না হয়ে যদি আমার জন্মটা রাখাইন রাজ্যেও হতে পারতো। আমিও তখন এই পরিস্থিতিতে পরতে পারতাম। না আর ভাবতে পারছিনা, অনুভব করলাম চোখের কোনে গরম তপ্ত জল গড়িয়ে পড়ছে। নিজের সন্তানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম.. আরো বেশি শক্ত করে। মানুষ কী করে এত অমানবিক হতে পারে? কী করে নির্দয় হয়। উফ! ভাবতে পারছিনা। খোদা তুমি রহম করো।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি একজন ছোটখাটো মানুষ, আমি খুব বেশি গুছিয়ে লিখতেও পারিনা। দেশের উপরের মহলের প্রতি অনুরোধ করছি তাদের পাশে আরো বেশি করে দাঁড়ান। তাদের প্রতি আরো বেশি সদয় হোন। সারা বিশ্ব দেখুক আমরা কতটা শান্তি প্রিয় মানুষ। পরিশেষে মানবতার জয় হোক।’

প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে চলমান জাতিগত নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।এর মধ্যে গত ২৪ অগাস্ট রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। এ দফায় ইতোমধ্যে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের ধারণা।

এলএবাংলাটাইমস/ই/এলআরটি