বিনোদন

হালদা নিয়ে তিশার অভিজ্ঞতা

১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘হালদা’। এতে বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। কেমন ছিল তার কাজের অভিজ্ঞতা, জানা যাক এই অভিনেত্রীর কাছ থেকে।

কেমন আছেন?
আমি খুবই ভালো আছি।

‘হালদা’ সিনেমায় আপনি হাসু চরিত্রে অভিনয় করেছেন, কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কাজের অভিজ্ঞতা অবশ্যই অনেক ভালো। একটা ভালো গল্পে কাজ করতে কে না চায়। হালদার গল্পটা খুব সুন্দর।

তৌকীর আহমেদ ভাই অনেক ভালো এবং বড় আর্টিস্ট। সেই সঙ্গে মোশাররফ ভাই ছিলেন, দিলারা আন্টি, ফজলুর রহমান বাবু, জাহিদ ভাই ছিলেন। তৌকীর ভাই যত্ন নিয়ে খুব ভালো একটি কাজ করেছেন।

এখানে কাজ করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অনেক বড় ক্যানভাসে এবং কাস্টিং নিয়ে কাজটা হয়েছে।  ভালো চরিত্রে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত।

এখানে আমি হাসু চরিত্রে কাজ করেছি। এতে হালদা নদীর প্রতিচ্ছবি হিসেবে মেয়েটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করছি, দর্শকের ভালো লাগবে।

‘হালদা’ নিয়ে দর্শকের কেমন সাড়া প্রত্যাশা করছেন?
আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা অনেক ভালো। কারণ আমি সিনেমা করি দর্শকের ভালোলাগার জন্য। আমার আজকের অবস্থানটা তৈরি করে দিয়েছেন দর্শক। আমি চেষ্টা করেছি ভালো কাজ করার। সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগে তো কিছুই বলা যায় না। আশা করছি, দর্শক আমার চরিত্রটা পছন্দ করবেন।

সম্প্রতি আপনি কাঠমান্ডুতে গিয়েছিলেন, সেখানকার অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার সঙ্গে দেখা করেছেন। অনেক ছবি তুলেছেন.. অভিজ্ঞতাটা যদি শেয়ার করেন?
আমি গিয়েছিলাম মূলত বেড়াতে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটা অনুষ্ঠান ছিল চলচ্চিত্র উৎসবের‘একাদেশমা আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’।

সেখানে তিন দিনের অনুষ্ঠানের স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে বিচারক হিসেবে বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা ছিলেন। ফারুকীও ছিল। সেই সুযোগে কাঠমান্ডু শহরটা ঘুরেছি। মনীষা কৈরালার সঙ্গে দেখা হয়েছে। কথা বলেছি, ছবি তুলেছি। খুব ভালো একটা সময় কেটেছে।

১৯৯৫ তে বিটিভির নতুনকুঁড়িতে আপনি শুরু করে এখন রূপালী পর্দায় কাজ করছেন। এই জার্নিটা কেমন?
নতুনকুঁড়িতে আমি গোল্ড কাপ পেয়েছিলাম। সেই ছোট আমি এখন অনেক বড় হয়েছি, বড় পর্দায় কাজ করছি। মানুষ আমার কাজ দেখে পছন্দ করছে। এটা খুবই ভালোলাগে। নিঃসন্দেহে এই জার্নিটা বেশ ভালো। এক পা দু পা করে এগিয়ে এসেছি। ভালো লাগে।

এই মুহূর্তে আর কী কাজ করছেন?
এখন কিছু কাজ করছি। তারচেয়ে বরং হালদা সিনেমার প্রচারণা নিয়ে সময় দিচ্ছি। অন্য কাজের কথা এই মুহূর্তে ভাবছি না।

নুসরাত ইমরোজ তিশাকে মানুষ আলাদাভাবে চেনে, জানে ও পছন্দ করে; এটা ভেবে কী অনুভূতি হয়?
আমি মনে করি, এটা আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী। মানুষ যে আমাকে আলাদাভাবে চেনে এবং ভালোবাসে, এটাকে আমি আল্লাহর বিশেষ ব্লেসিং হিসেবেই দেখি।


এলএবাংলাটাইমস//এলআরটি