বিনোদন

'রাজকাহিনী' নিয়ে অভিনেতা শিমুল সরকার

এই রাজা, রাজ সিংহাসন কল্পনার নিপুণ বুননে, স্বহস্তেই একটি ঐতিহাসিক রাজ মহলের আদলকেই দাঁড়া করিয়েছেন,তাঁরই নিজস্ব মেধায় অসংখ্য প্রহরীর মগজ প্রদানেই তিনি ক্ষান্ত নন। টেলিভিশনের সৌজন্যেই অভিনয় জগৎ তাঁর শুরুই বলা চলে। টেলিভিশনে প্রথম অভিনেতা হলেও মঞ্চ সম্রাট হয়ে ছিলেন জীবনের শুরুতেই। সুতরাং কখনোই পরাজিত হওয়ার পুরুষ নন তিনি, আজ তিনি সত্যিই এক রাজাধিরাজ। ঠিক তাই তো, বেছে নিয়েছেন রাজমহলের এক চমৎকার কাহিনী, এমন এ রাজকাহিনীটি শুভ নববর্ষের শুরুতেই শুভ মুক্তি। রাজকাহিনীটি চরম বিনোদন পূর্ণ ক্রিয়েটিভ ধারার একটি টেলিফিল্ম হবে আশা করা যায়। তাই রাজকাহিনী টেলিফিল্মের মূখ্য চরিত্রাভিনেতা যিনি, তিনিই হলেন সুদক্ষ নাট্যকার, পরিচালক এবং লাভ টিভির প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় শিমুল সরকার।

পরিচালক শিমুল সরকার জানান, মঞ্চে একাধারে ২২ বছর দাপটের সঙ্গে কাটিয়েছেন। ভেবেছিলেন টেলিভিশন নাটক বা চলচ্চিত্রে ক্যামেরার সামনে আর কখনোই আসবেন না। নির্মাণেই তিনি শতভাগ মনোযোগ দিবেন। কিন্তু এই দেশে আসলে বলতেই হয় নির্মাতার দেশ নয়। সু নির্মাতারা এখানে অর্থাৎ এই দেশে নাটক বানিয়ে টিভি চ্যানেল, এজেন্সী আর প্রযোজকদের দ্বারা অনেকাংশে নির্যাতিত হয়ে থাকেন। বছরের পর বছর চ্যানেল আর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পিছনে তিনি আর ঘুরবেন না পাওনা টাকার চাওয়া জন্য, এমন জঘন্য এ দেশের মিডিয়া জগৎ যে ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ। তাই তো কঠিন বাস্তবতায় এখানে একমাত্র অভিনয়টাই পেইন মুক্ত পেশা। এই পরীক্ষায় নামলেন পূূর্ণ অভিজ্ঞা নিয়েই। মিডিয়া জগতে তাঁর অভিনয় কতটুকুই খাপ খাবে সেটি এখন দর্শকদের চাহিদার উপর নির্ভর করবে।নজরুল ইসলাম তোফাকে নাট্যকার ও পরিচালক শিমল সরকার জানান, এটিই তাঁর পরীক্ষা মুলক অভিনয়।