পরিবেশ

হাঁটতে হাঁটতে পেলেন হীরা

বান্ধবীকে নিয়ে পার্কে ঢুকেছিলেন জেরি ইভানস। দুজনই হাঁটছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে কাচের টুকরার মতো কিছু একটা চোখ পড়ে তাঁর। এরপর কী যেন ভেবে সেটি হাতে তুলে নেন, গল্প করতে করতে অনেকটা আনমনে সেটা পকেটে ভরে ফেলেন। পরে জানা গেল, ওটা আসলে অতি মূল্যবান হীরা! যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের পার্ক, ঐতিহ্য ও পর্যটন বিভাগ জানায়, মারফ্রিসবোরোর শহরের ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্কে খুঁজে পাওয়া ওই হীরাটি ৪ দশমিক ৮৭ ক্যারেটের। তিন বছরের মধ্যে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা এটি। ইভানস বলেন, পার্কে ঢোকার ১০ মিনিটের মধ্যে এটি তাঁর নজরে পড়ে। যে পথে হাঁটছিলেন, কয়েক ফুট দূরে ছিল এটি। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম এটা কাচের টুকরা; অত্যন্ত স্বচ্ছ ছিল।’ সেই স্বচ্ছতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ইভানস। ভেবেছিলেন, এটা কাচ না হয়ে যদি অন্য কিছু হতো! ইভানস সেই টুকরাটি বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর টুকরাটি আসলে কিসের, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেটি জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকাতে পাঠান। কয়েক সপ্তাহ পর ওই ইনস্টিটিউট থেকে তাঁকে জানানো হয়, ছোট্ট এই টুকরাটি হীরা! ইভানস বলেন, ‘যখন ফোন করে আমাকে বলা হলো, এটা সত্যিকারের হীরা, খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম!’ তিনি হীরাটির নাম দিয়েছেন ‘ইভানস ডায়মন্ড’। জেলিবিনের আকারের হীরাটি দেখতে পিরামিডের মতো। পরে ছেলের উৎসাহে ইভানস চলে যান ওই পার্কে কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের জানিয়ে দেন, পার্কে ঘুরতে গিয়ে তিনি হীরা পেয়েছেন। ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ওয়েমন কক্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে ইভানস তাঁর ঐতিহাসিক হীরাটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত করতে পার্কে এনেছিলেন। আমি অনেক মানুষের কাছে অনেক ই–মেইল পাই, যাঁরা তাদের খুঁজে পাওয়া বস্তুগুলো শনাক্ত করার অনুরোধ করেন। ইভানসকেই প্রথম পেলাম, যিনি জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে শনাক্ত করার পর আমার কাছে এলেন।’ কক্স বলেন, ‘ইভানসের পাওয়া হীরাটি দর্শনীয়। এটি উজ্জ্বল সাদা রঙের স্ফটিক। অতীতে আমার দেখা এমন অনেক বড় হীরার কথা মনে পড়ে গেল।’ দ্য স্টেট পার্ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালে ৯ দশমিক শূন্য ৭ ক্যারেটের একটি বাদামি হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর ইভানসের পাওয়া হীরাটিই সবচেয়ে বড়। ২০২৩ সালে ওই পার্ক থেকে পাওয়া ৭৯৮টি হীরার নিবন্ধন হয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/এজেড