পৃথিবীতে অসংখ্য ফুল আছে; কিন্তু একেবারেই আলাদা এক বিস্ময় লুকিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার বুকে। এর নাম পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার আন্ডারগ্রাউন্ড অর্কিড বা রাইজেন্থেলা গার্ডনেরি। এটাই বিশ্বের একমাত্র ফুল, যা পুরো জীবনটাই কাটায় মাটির নিচে। পাতাহীন, শিকড়হীন এই গাছ ভূগর্ভেই জন্মায়, বেঁচে থাকে এবং এক সময় উঁকি দেয় রঙিন ফুল নিয়ে। যেন অন্ধকারের ভেতর থেকে আলো হয়ে ওঠা এক দারুণ, রহস্যময় ও বিরল বিস্ময়।
শৈশবে বইয়ের পাতায় অর্কিডটির ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানী কিংসলে ডিকসন। তাঁর কাছে এটি ছিল স্বপ্নের ফুল। বহু বছর পর এক অভিযানে হঠাৎ মাটির নিচ থেকে অর্কিডটির লালচে ফুলের দেখা পেয়ে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। সেই মুগ্ধতায় ডুবে এখন তিনি এই অসাধারণ অর্কিডটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লড়ছেন।
অর্কিডটির বেঁচে থাকে এক ত্রিমুখী সম্পর্কে। যাতে প্রয়োজন হয় একটি বিশেষ উদ্ভিদের ঝোপ, একটি ছত্রাক এবং অর্কিডটির বীজ। ছত্রাক ঝোপ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি টেনে নেয় অর্কিডটি। প্রকৃতির এই সূক্ষ্ম সহযোগিতা লাইন যদি কোনো কারণে কোথাও ভেঙে যায় তবে অর্কিডটি আর টিকতে পারে না। কখনও কখনও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বনভূমিতে এর সংখ্যা নেমে আসে মাত্র তিনটিতে, আবার কোনো কোনো বছর একটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবু আশার আলো আছে। ডিকসন এখন ল্যাবে অর্কিড জন্মানোর চেষ্টা করছেন। ঝোপ ও ছত্রাককে একসঙ্গে রেখে সংরক্ষিত বীজ অঙ্কুরিত করার প্রয়াস চালাচ্ছেন তিনি। ডিকসনের কাছে এই ফুল শুধু গবেষণার বস্তু নয়, বরং শৈশবের মুগ্ধতা ও প্রকৃতির দারুণ সৌন্দর্যের প্রতীক। তাঁর ভাষ্যে ‘এই অর্কিড ভূগর্ভে থাকে, অথচ কত অসাধারণ! একে বাঁচানো মানে একটি বিস্ময়কে বাঁচানো, প্রকৃতিকে বাঁচানো’। সূত্র: বিবিসি এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
অর্কিডটির বেঁচে থাকে এক ত্রিমুখী সম্পর্কে। যাতে প্রয়োজন হয় একটি বিশেষ উদ্ভিদের ঝোপ, একটি ছত্রাক এবং অর্কিডটির বীজ। ছত্রাক ঝোপ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি টেনে নেয় অর্কিডটি। প্রকৃতির এই সূক্ষ্ম সহযোগিতা লাইন যদি কোনো কারণে কোথাও ভেঙে যায় তবে অর্কিডটি আর টিকতে পারে না। কখনও কখনও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বনভূমিতে এর সংখ্যা নেমে আসে মাত্র তিনটিতে, আবার কোনো কোনো বছর একটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবু আশার আলো আছে। ডিকসন এখন ল্যাবে অর্কিড জন্মানোর চেষ্টা করছেন। ঝোপ ও ছত্রাককে একসঙ্গে রেখে সংরক্ষিত বীজ অঙ্কুরিত করার প্রয়াস চালাচ্ছেন তিনি। ডিকসনের কাছে এই ফুল শুধু গবেষণার বস্তু নয়, বরং শৈশবের মুগ্ধতা ও প্রকৃতির দারুণ সৌন্দর্যের প্রতীক। তাঁর ভাষ্যে ‘এই অর্কিড ভূগর্ভে থাকে, অথচ কত অসাধারণ! একে বাঁচানো মানে একটি বিস্ময়কে বাঁচানো, প্রকৃতিকে বাঁচানো’। সূত্র: বিবিসি এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস