পর্যটকদের জন্যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পূর্ব ইউক্রেন ভ্রমণের প্যাকেজ নিয়ে বাজারে নামছে রাশিয়ার একটি কোম্পানি। ম্যাগাপলিস কুরর্ট নামের এই কোম্পানিটি সাধারণত রাশিয়ার ভেতরে পর্যটকদের হলিডের ব্যবস্থা করার জন্যে সুপরিচিত। কিন্তু পূর্ব ইউক্রেনের মতো সমস্যা কবলিত এলাকাতেও হলিডের ব্যবস্থা করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘এক্সট্রিম ট্যুরিজম’ বা ‘চরম পরিবেশে পর্যটন’।ক্রেমলিনপন্থী একটি সংবাদপত্রে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।হলিডের প্যাকেজে পূর্ব ইউক্রেনে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দনিয়েস্ক এবং লুহান্সকেও ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকছে। এই ট্যুর প্যাকেজে পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে চারদিন ধরে ভ্রমণের কথা বলা হয়েছে।কোম্পানির অন্যতম মালিক মিখাইল বেলি বলেন, এই ট্রিপে খরচ পড়বে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ডলার। এক একটি দলে থাকবে পাঁচ থেকে সাতজন পর্যটক। এছাড়া প্রত্যেকটি টিমের জন্যে বিশেষ সাঁজোয়া যানেরও ব্যবস্থা করা হবে। সাথে থাকবে নিরাপত্তা রক্ষীও। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই ১০ জন এই ট্রিপের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।এদিকে এই পর্যটন প্যাকেজের খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন লুহান্সকে স্বঘোষিত সরকারের একজন সদস্য। তিনি বলেছেন, পর্যটন শিল্পের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু মানুষের দুঃখ দুর্দশাকে বিক্রি করে অর্থ উপার্জনকে আমরা সমর্থন করতে পারি না।
তবে কোম্পানির আরেকজন মালিক বলেছেন, এটা হবে স্বল্পমেয়াদী একটি প্যাকেজ। এটা স্থায়ী কোনো ট্যুর হতে পারে না।এমন অবস্থায় এই প্যাকেজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ কোম্পানিটি বলছে, পর্যটকদেরকে নিজেদের সিদ্ধান্তেই ওখানে যেতে হবে। তাদের কিছু হলে কোম্পানি এর কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই দনিয়েস্ক এবং লুহান্সক এলাকা রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে। এখানে সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছিলো। তবে রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর সেখানকার পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত ও থমথমে। সূত্র: বিবিসি
তবে কোম্পানির আরেকজন মালিক বলেছেন, এটা হবে স্বল্পমেয়াদী একটি প্যাকেজ। এটা স্থায়ী কোনো ট্যুর হতে পারে না।এমন অবস্থায় এই প্যাকেজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ কোম্পানিটি বলছে, পর্যটকদেরকে নিজেদের সিদ্ধান্তেই ওখানে যেতে হবে। তাদের কিছু হলে কোম্পানি এর কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই দনিয়েস্ক এবং লুহান্সক এলাকা রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে। এখানে সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছিলো। তবে রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর সেখানকার পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত ও থমথমে। সূত্র: বিবিসি