ইউরোপ

ম্যাক্রোঁকে চড় মেরেছে চরম-ডানপন্থীরা

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে চরম ডানপন্থীরা চড় মেরেছিল বলে সন্দেহ। এ ব্যাপারে দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে পুলিশ হিটলারের আত্মজীবনী 'মেইন ক্যাম্ফ' উদ্ধার করেছে। গত মঙ্গলবার ড্যানিয়েন ট্যারেল ম্যাক্রোঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। আর আর্থার সি ওই ঘটনার ভিডিও তুলছিলেন।

দক্ষিণপূর্ব ফ্রান্সের একটি শহরে ম্যাক্রোঁ সাধারণ মানুষের অভিবাদন গ্রহণ করছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে। আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ম্যাক্রোঁ এখন মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছেন।

সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, ট্যারেল ইউটিউবে চরম ডানপন্থীদের চ্যানেলগুলোও সাবসক্রাইব করেছে। বুধবার তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিকে অপমান করার অভিযোগ আনতে চলেছে পুলিশ। এই অপরাধের জন্য তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং ৪৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

যে অভিযুক্ত পুরো ঘটনাটা ভিডিওতে ধরে রাখছিল, তার বাড়িতে হিটলারের আত্মজীবনী ছাড়াও বেশ কিছু অস্ত্র পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আছে তলোয়ার, ছুরি, রাইফেল। রাইফেলের অবশ্য লাইসেন্স আছে।

বলা হচ্ছে, ম্যাক্রোঁকে ওইভাবে জনগণের মাঝখানে যেতে নিষেধ করেছিলেন তার নিরাপত্তা-প্রধান। কিন্তু ম্যাক্রোঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, এরকম কিছুই হয়নি।

অভিযুক্তদের বিষয়ে কী জানা গেছে?

প্রথম অভিযুক্ত, যে প্রেসিডেন্টকে চড় মেরেছিল, তার চরম ডানপন্থীদের বিষয়ে উৎসাহ আছে। রাজতন্ত্র নিয়েও সে উৎসাহী। ফ্রান্সের মধ্যযুগের ইতিহাস সম্পর্কে সে পড়াশুনো করেছে। ইনস্টাগ্রামের পাতায় সে নিজেকে ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ হিস্টরিক ইউরোপীয়ান মার্শাল আর্টের সাথে যুক্ত বলে জানিয়েছে। লম্বা তলোয়ার নিয়ে মধ্যযুগীয় পোশাক পরে তার ছবিও আছে।

তবে তার এক বন্ধুর মতে, রাজনীতি নিয়ে তার কোনো উৎসাহ নেই। তার চরিত্রের সাথে চড় মারাটা একেবারেই মানানসই নয়।

চড় মারার আগে অভিযুক্ত ‘ডাউন উইথ ম্যাক্রোঁনিয়া' বলে চিৎকারও করেছিল। দুই অভিযুক্তের বাড়িই গ্রামে। তাদের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযুক্তও মধ্যযুগের ফ্রান্সের ভক্ত।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ইউ

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]