ইউরোপ

ফ্রান্সে অনুমোদন পেল বিতর্কিত পেনশন সংস্কার

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিতর্কিত পেনশন সংস্কার বিল দেশজুরে বিক্ষোভ উস্কে দিয়েছে। তবে বিলটি সাংবিধানিক পরিষদের সবুজ সংকেত পেয়েছে। শুক্রবারেই (১৪ এপ্রিল) বিলটি অনুমোদন করেছে সাংবিধানিক পরিষদ। খুব শিগগিরই এতে স্বাক্ষর করে এটিকে আইনে পরিণত করার পাশাপাশি তা কার্যকরও করা সম্ভব হবে। নতুন আইন এবছর সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে বলে ঘোষণা করেছে ফ্রান্স সরকার। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ পেনশন পাওয়ার বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করতে চেয়েছিলেন। তার প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু সেখানে বামপন্থিরাসহ মাক্রোঁ-বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এ পরিকল্পনা আটকানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অবসর নেওয়ার ন্যূনতম বয়স সরকার বাড়াতে চাওয়ার কারণেই মূলত ফ্রান্সে এই পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। ফলে সে পরিস্থিতি এড়াতে ম্যাক্রোঁ সিদ্ধান্ত নেন যে, সরকার বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ভোটাভুটি ছাড়াই বিল পাস করবে। পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসার সময়ই বিরোধী শিবির থেকে সরকারের পদত্যাগের দাবি ওঠে। অপরদিকে, ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিক্ষোভও আরও জোরাল হতে থাকে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে বেধে যায় সংঘর্ষ। ফ্রান্সের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ছড়ায়। ফ্রান্সের সরকার বলছে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধসে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে এ সংস্কার প্রয়োজন। রাজকোষে যাতে আরও অর্থ আসে সে ব্যবস্থা করেতেই প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ পেনশন পাওয়ার বয়স দু’বছর বাড়াতে চেয়েছেন। এ ব্যবস্থা না নিলে আর্থিক পরিস্থিতি এবং ঘাটতি সামলানো যাবে না বলেই ভাষ্য সরকারের। তবে সরকার যাই বলুক, সাংবিধানিক পরিষদের ঘোষণা আসার পরই আবার শুরু হতে পারে বিক্ষোভ। এলএবাংলাটাইমস/এজেড