ইউরোপ

চীনের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক চায় যুক্তরাজ্য

বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্য থাকার পরও চীনের সঙ্গে বাস্তবসম্মত সম্পর্ক চায় যুক্তরাজ্য। বেইজিং সফরকালে আজ বুধবার এ কথা বলেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি। জেমস ক্লিভারলি বলেন, ‘মৌলিক বেশ কিছু ইস্যুতে চীনের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে। চীনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা যখন বৈঠকে বসি, তখন এ নিয়ে আলোচনা করি।’ তিনি বলেন, ‘তবে এরপরও আমার মনে হয়, আমাদের (চীন ও যুক্তরাজ্য) বাস্তবসম্মত ও অর্থবহ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন।’ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কারণে পুরো বিশ্বই ভুগছে বলে মনে করেন তিনি। চীনের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের (এমপি) সমালোচনার মধ্যেই বেইজিং সফর করছেন ক্লিভারলি। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের কোনো জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী চীন সফর করছেন। তবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির আইনপ্রণেতারা বলেছেন, চীনের বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের কৌশল অসংগতিপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা স্যার ইয়ান ডানকান স্মিথ চীনের ব্যাপারে তাঁর দেশের সরকারের কৌশলকে ‘তুষ্টকরণ’ নীতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। জানা গেছে, ক্লিভারলি তাঁর বেইজিং সফরকালে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে ক্লিভারলির সঙ্গে আলোচনা হবে। বেইজিং সফরে জিনজিয়াং, তিব্বত, হংকং ইস্যুসহ চীনের মানবাধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর বেইজিং সফরের আলোচ্যসূচিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়ও রয়েছে। বেইজিং সফর শুরুর আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মহামারি প্রতিরোধ, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে পারমাণবিক বিস্তার—উল্লেখযোগ্য কোনো বৈশ্বিক সমস্যাই চীনকে ছাড়া সমাধান করা যাবে না। চীনের আকার, ইতিহাস ও বৈশ্বিক যে তাৎপর্য, তাতে দেশটিকে উপেক্ষা করা যায় না। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস