ফিচার

পনের আগস্ট অতপর

নিস্তব্ধ রাতের শেষ প্রহর-
কুয়াছায় আচ্ছন্ন ঢাকার রাজপথ,
বাংলার আকাশে ধ্রুব তারার ম্লান হাসি,
পতনের ছটপটানিতে আকাশ বড্ড মলিন আজ।

ভোরের পাখি জাগছ্নো কেন!রজনীগন্ধা মেলছেনা পাখা,
হাসনাহেনার মলিন হাসি-
লাল সবুজের পতাকা দুলছেনা।

১৯৭৫, আগষ্ট ১৫, কাক ডাকা ভোর
ভোরের আবছা আলোয় বুটের শব্দ,
মির জাফরের কালো ছায়ায়-
ঢেকে গেল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি।

বাংলার পিতা শুয়ে আছে -
সদ্য স্বাধীনতার গন্ধ শুকে,
মুখে হাসি , পরনে সাদা কোর্তা
হঠাৎ অজানা ভয়ে কেঁপে উঠে মুজিব।

চারিদিকে বুলেটের শব্দ-
আর্তচিৎকারে লুটে পড়ে,
সদ্য বিবাহিত মুজিব পুত্র,
নব বধু সুলতানা কামাল।

নিমিশে বুলেটের আঘাতে -
রক্তাক্ত বঙ্গমাতা , নিষ্পাপ রাসেল,
শেখ জামাল আরও বেশ কজন
ঘাতকের বুলেটে শুয়ে আছে।

বঙ্গপিতার হুঙ্কারে ফারুক স্তম্ভিত ,
থরথর করে কাঁপছে-ঘাতকের বুলেট গান,
কে যেন বলছে আমি পারবনা,
পিতার বুকে আঘাত করতে।

পরক্ষণেই মেজর নুরের-
বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত
বঙ্গবন্ধুর সারা দেহ,
পড়ে আছে নিথর হয়ে।

কালো বাটের প্রগ্রেসিভ গ্লাসের-
চশমায় লুটিয়ে পড়ল মুজিব,
মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে বলছে
আমার বাংলা আমি খুব ভালবাসি।

হায় অভাগা বাঙালী-
পিতার বুকে বুলেট ভরে,
শাসক হতে চায়,
স্বাধীন দেশের শীতল ছায়ায়।

হে মুজিব!
বাংলার পিতা আমার,
ফিরে এসো মায়ের কোল জুড়ে
লাল সবুজের পতাকা হাতে।