ফিচার

করোনাকালেও যেসব দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন মার্কিনীরা

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। প্রত্যেক দেশই সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছে নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে। ফলাফল স্বরূপ অনেক দেশেই বন্ধ রয়েছে ট্যুরিস্ট আকর্ষণ কেন্দ্রগুলো, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরোপ করা হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। তবে কিছু কিছু দেশ আছে যেখানে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন। চলুন দেখে নিই কোথায় ভ্রমণে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা -

আলবেনিয়া: করোনার ধাক্কা সামলে সাগরপাড়ের দেশ আলবেনিয়ায় চালু করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট। ইইএস দূতাবাস জানিয়েছে, আলবেনিয়ায় যেতে হলে করোনাভাইরাসের টেস্ট করানোর প্রয়োজন নেই, তবে এয়ারপোর্টে স্ক্রিনিং এর মুখোমুখি হতে পারেন মার্কিনীরা।

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা: ক্যারিবীয় সাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র এটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর দেশটিতে চাইলে মার্কিনীরা ভ্রমণে যেতে পারেন - তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এরপর পৌঁছানোর পর দেওয়া হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন।

আর্মেনিয়া: তুর্কিশ সাগরের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠা আর্মেনিয়ায় রয়েছে বেশ কিছু ট্যুরিস্ট স্পট। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর করতে হবে বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাস পিসিআর টেস্ট, অথবা থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে।

আরুবা: আরুবার ভ্রমণ করতে চাইলে প্রয়োজন হবে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট। দেশটিতে পৌঁছে করতে হবে আরেকদফা টেস্ট। এরপর করতে হবে আরুবা হেলথ ইন্সুরেন্স। তবেই আপনি ভ্রমণের অনুমতি পাবেন দেশটিতে।

দ্যা বাহামাস: অপূর্ব সুন্দর এই দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ করতে হলে শুরুতেই করতে হবে অনলাইন ভিসা কার্যক্রম। ভ্রমণের পাঁচদিন আগেই জমা দিতে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট। তবেই আমন্ত্রণ জানানো হবে মার্কিন ভ্রমণপিয়াসীদের।

বাংলাদেশ: দক্ষিণ এশিয়ার ভিন্ন সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর দেশটিতে ভ্রমণ করতে চাইলে প্রয়োজন পড়বে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট। দেশটিতে পৌঁছে থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। 

বারবাডোস: দেশটিতে ভ্রমণের আগেই অনলাইনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সার্টিফিকেট জমা নেওয়া হবে। ভ্রমণের পর থাকতে হতে পারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে।

বেলারুশ: বেলারুশে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। তবে মার্কিনীদের জন্য খোলা রয়েছে বর্ডার। তাপমাত্রা পরিমাপ করে সন্তোষজনক হলেই ভ্রমণ করতে পারবেন মার্কিনীরা।

ব্রাজিল: করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশ ব্রাজিল মার্কিনীদের জন্য খোলা রেখেছে বর্ডার। তবে শুধুমাত্র জরুরি ভ্রমণের জন্যই অনুমতি দেওয়া হবে, আর প্রয়োজন পড়বে করোনাভাইরাস টেস্টের সার্টিফিকেট।

কোস্টারিকা: যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য খোলা রয়েছে কোস্টারিকা। সেক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা আগে সংগ্রহ করতে হবে হেলথ পাস। জমা দিতে হবে করোনাভাইরাস টেস্টের সার্টিফিকেট।

দুবাই: আমোদপ্রমোদের জন্য প্রসিদ্ধ দুবাই মার্কিনীদের জন্য চালু রেখেছে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট। সেক্ষেত্রে দুবাই এ পৌঁছার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাস পিসিআর টেস্ট করা হবে। এরপরই ফলাফল বুঝে ভ্রমণের অনুমতি পাওয়া যাবে।

মিসর: সকল দেশের ট্যুরিস্টদের জন্য খোলা রয়েছে মিশর। তবে দেশটিতে ভ্রমণ করতে প্রয়োজন পড়বে সদ্য পরীক্ষিত করোনাভাইরাস সার্টিফিকেট। জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের হার্ডকপি।

ঘানা: আফ্রিকার রত্ন ঘানায় ভ্রমণ করতে চাইলে স্রেফ প্রয়োজন পড়বে করোনাভাইরাস টেস্ট সার্টিফিকেট। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষিত সার্টিফিকেট দেখে তবেই ভ্রমণ করতে অনুমতি দিবে ঘানা কর্তৃপক্ষ।

মালদ্বীপ: ভূ-স্বর্গ মালদ্বীপ ট্যুরিস্টদের জন্য অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। আর সেখানে আমেরিকার কেউ ভ্রমণ করতে চাইলে দরকার হবে করোনাভাইরাস সার্টিফিকেট। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না কাউকেই।

সাউথ কোরিয়া: সাউথ কোরিয়ার চালু রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট। তবে পৌঁছে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সবাইকে। ইউএস নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৯০ দিনের ভিসা অনুমোদন দেবে দেশটি।

এছাড়াও সার্বিয়া, সেন্ট লুসিয়া, রুয়াণ্ডা, নামিবিয়া, তুরস্ক, তানজানিয়া, জাম্বিয়াসহ বেশ কিছু আফ্রিকার দেশে চাইলেই ভ্রমণ করতে পারবেন যেকোনো যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের টেস্ট করালেও ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যাবে দেশগুলোতে।



এলএবাংলাটাইমস/ওএম