ফিচার

কবিতা

  এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গল্প লায়লা পারভীন কেয়া

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বজন হারানোর স্মৃতি নিয়ে
অবিরাম নয়মাস যুদ্ধ করে ক্ষত-বিক্ষত -
এক অচিন পাড়া-গাঁয়ের অচেনা মুক্তিযোদ্ধা।

শুধু স্বজন-প্রিয়জন হারিয়েছে তাই নয়.
বুলেট বিঁধে হারিয়েছে একটি হাত
হারিয়েছে একটি চোঁখ বেয়নেটের খোঁচায়।

তবু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে
পুরাতন বটবৃক্ষের মত ইতিহাসে বুক বেঁধে।

বুকের মধ্যে স্বজন প্রিয়জন হারানোর হাহাকার,
বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার -
একচোখে ইতিহাসের পাতা
উদাস নেত্র ফসলের মাঠ পেরিয়ে

দূর সীমান্তে -
হয়তোবা আরো বহুদূরে -
উদ্দেশ্যহীন শূন্যতার ক্যানভাসে।

কল্পনার রঙতুলি দিয়ে
এঁকে চলে স্মৃতির পটভূমি।

লিখতে জানলে হয়তো -
যুদ্ধকালীন ও স্বাধীনতা অর্জন
ইতিহাসে লেখা হতো।

কিন্তু উনি অশিক্ষিত,
যুদ্ধ-পূর্ব বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা কৃষক ছিলেন ।

তাই অবশিষ্ট এক হাতে
আর অবশিষ্ট এক চোখ দিয়ে
সোনালী ফসল ফলায়।

আর হারানো এক চোখে
কল্পনার রঙতুলিতে
এঁকে চলে হারানো প্রিয়জনের ছবি।

আর বুকের মধ্যে গড়ে তুলে -
স্বাধীনতার মূল্যবোধ, নাকি  অবমূল্যায়ন।
বৃক্ষছায়াতলে বসে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা
মৌনতায় দ্যাখে নতুন প্রজন্মকে
দ্যাখে স্বাধীন বাংলার দৃশ্যপট।