ফিচার

এক দশকে পরিবর্তন আসেনি লিঙ্গ বৈষম্যের পরিসংখ্যানে

এক দশক ধরে একটুও কমেনি বিশ্বে লিঙ্গ বৈষম্যের প্রতি মনোভাব। সোমবার (১২ জুন) জাতিসংঘের এক গবেষণায় বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, সাংস্কৃতিক পক্ষপাত ও চাপের কারণে নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্ত হয়ে আসছে গত এক দশক ধরেই। ফলে জাতিসংঘের লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে লিঙ্গ সমতা আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু পুরুষই নয়, নারীদের মধ্যেও থাকতে পারে লিঙ্গ বৈষম্যের মনোভাব। গবেষণা বলছে, প্রতি ১০ জনে ৯ জন ব্যক্তিই নারীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট। আর এই পরিসংখ্যানে গত এক দশকে আসেনি কোনও পরিবর্তন। জরিপে উঠে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পুরুষদেরই বেশি যোগ্য মনে করেন বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ। আর ৪৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নারীর তুলনায়পুরুষ বেশি দক্ষ। জরিপে উঠে এসেছে নারী-পুরুষের আয় বৈষম্যও। ৫৭ টি দেশের ওপর জরিপে দেখা যায়, আয়ের বৈষম্য প্রায় ৩৯ শতাংশ। অথচ দেশগুলোতে শিক্ষিত পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যাই বেশি। লৈঙ্গিক সমতার ইস্যুতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ‘জেন্ডার সোশ্যাল নর্মস’ শীর্ষক সূচকের সর্বশেষ আপডেটে এমন বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। এই সূচকের জন্য ২০১০ সাল থেকেবিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যার বিভিন্ন অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে সংস্থাটি। ইউএনডিপির জেন্ডার বিশেষজ্ঞ অ্যারোয়া সান্তিয়াগো বলেন, ‘লিঙ্গগত পক্ষপাতিত্ব, সামাজিক রীতিনীতি পরিবর্তন করতে হবে।তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আনা।’ বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্য হারে নারী অ্যাক্টিভিস্ট বাড়তে থাকলেও কমেনি নারীর প্রতি বৈষম্য। এই বৈষম্য কমাতে পারেনি ‘টাইমস আপ’ ও ‘মি ঠু’ এর মতো সামাজিক আন্দোলনও। সম্প্রতি করোনা মহামারির কারণে এই অবস্থা পৌঁছেছে আরও শোচনীয় পর্যায়ে।  এলএবাংলাটাইমস/এজেড