স্বাস্থ্য

তামার গ্লাসে পানি পানে ওজন কমে








প্রাচীনকাল থেকেই তামার পাত্রে পানি খাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। সময়ের সঙ্গে এই অভ্য়েস এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। তবে তামার পাত্রে পানি খাওয়ার অভ্যেস ফিরিয়ে আনতে পারলে নিঃসন্দেহে তার একাধিক উপকারিতা পাবেন।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তামার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। পানির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ও ভাইরাস থাকে। এগুলো ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে তামার। তাই তামার পাত্রে পানি ধরে রেখে তা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তামার পাত্র থেকে জলপানের বিভিন্ন উপকারিতা দেখে নিন।

তামার মধ্যে থাকা বিশেষ উপাদান আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে। পাকস্থলীকে ভালো রাখে তামা। তাই তামার পাত্রে পানি খাওয়া অভ্যেস করতে পারলে হজম ক্ষমতা অনেকটাই উন্নত হবে। যারা গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, অবশ্যই তামার পাত্রে পানি খাওয়া অভ্যেস করুন। আলসার, বদহজম এবং লিভারে সংক্রমণ থাকলে তামার পাত্রে পানি খাওয়া অভ্যেস করুন। এর ফলে কিডনিও ভালো থাকে।

আপনি খুব তাড়াতাড়ি কয়েক কিলো ওজন কমাতে চাইলে তামার পাত্রে পানি খাওয়া অভ্যেস করুন। আপনার শরীরে জমে থাকা মেদ ভাঙতে সাহায্য করবে তামা। তামার পাত্রে নিয়মিত পানি খেতে পারলে বেশ তাড়াতাড়ি ওজন কমানো সম্ভব। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া, নিয়মিত ওয়ার্ক আউটও করতে হবে।

হার্টের অসুখ এমনকি ক্যানসার রোধ করতেও তামা অত্যন্ত উপযোগী। হার্টরেট, রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে তামা। এর ফলে তামার বোতলে পানি খেলে হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে। এছাড়া তামার মধ্যে আছে ক্যানসার-রোধ করার উপাদান।

তামার মধ্যে আছে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। সেই কারণে ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে তামা। তামার বোতল থেকে পানি পান করলে ক্ষতস্থানে নিরাময় হয় দ্রুত। তামা আমাদের শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে আরও সক্রিয় করে তোলে।

শরীরে তামার ঘাটতি থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরের থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে ভালো ভাবে কাজ করানোর জন্য তামার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে তামা ছাড়াও থাইরয়েডের সমস্যা হওয়ার জন্য আরও অনেক কারণ আছে। তামার পাত্র থেকে পানি পান করলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ভালো থাকে।

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত তামার পাত্রে জল খেলে দেহের তামার ঘাটতি দূর হয়। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের ভিতরে থাকা নিউরোনদের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে ব্রেন-পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক এত দ্রুত কাজ করে যে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়তেও সময় লাগে না।

অতএব প্লাস্টিক বা কাঁচের বদলে আজ থেকেই শুরু করে দিন তামার গ্লাস বা বোতলে জল খাওয়া। আর নিজেকে রাখুন সুস্থ ও সবল।