স্বাস্থ্য

ইবোলা ঠেকাতে বাপার সুপারিশ

মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে ‘মৃত্যু আতংক ইবোলা ভাইরাস: আমাদের করণীয় ও সতর্কতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে এসব সুপারিশ পেশ করেন বাপার সদস্য সচিব জাহেদুর রহমান।

সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কড়া নজরদারি ও শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা, ইবোলা সংক্রমিত দেশ থেকে আমদানি করা ভোগ্য পণ্যের পরীক্ষা,  সরকারের উচ্চ পর্যায়ে টিম গঠন করে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা, পূর্ব সতর্কতা হিসেবে জেলায়-জেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন, ইবোলা চিহ্নিত করতে হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বন এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া।

সেমিনারে বাংলাদেশ হেলথ সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. এম এস ফারুকী  বলেন, “জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ইবোলা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য একটি করে ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা উচিৎ।”

গত সোমবার ইবোলা প্রতিরোধে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইবোলা সংক্রমণে পশ্চিম আফ্রিকাজুড়ে মারা গেছে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। বেশির ভাগই মারা গেছে লাইবেরিয়া, গিনি এবং সিয়েরা লিওনে। এ দেশগুলোতে ইবোলা আক্রান্তদের ৭০ শতাংশই মারা গেছে।

সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ইবোলা আক্রান্ত ছয়জন বাংলাদেশি লাইবেরিয়া থেকে দেশে আসেন। তাদের ব্যাপারে গণমাধ্যমে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।