পর্নোগ্রাফি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই যৌন
উৎকল্পনার খোরাক যোগায়। তবে এক্স রেটেড ইমেজ ও ফিল্ম উৎকাল্পনিক ইন্দ্রিয় সুখ
দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও অনেক ক্ষতি করে।মানসিক অবস্থার উপর বিভিন্ন ধরনের
প্রভাব ফেলতে সক্ষম হরমোন নিঃসরণের পাশাপাশি আসক্তিমূলক প্রবণতাও সৃষ্টি করতে পারে
পর্ন। ফলে আমাদের মস্তিষ্কে পর্নোগ্রাফির মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবও পড়তে পারে।
আপনি যত বেশি পর্ন দেখবেন ততই মন চাইবে। স্বাভাবিক যৌন সহবাস ও পর্ন মুভি দেখা উভয়ের
মাধ্যমেই মস্তিষ্কে ডোপামিন নামের হরমোন নিঃসরিত হয়। এই হরমোনের প্রভাবেই আমাদের
মস্তিষ্কে আনন্দের অনুভুতি বা ইন্দ্রিয় সুখানুভুতির সৃষ্টি হয়।কিন্তু নিয়মিত পর্ন
দেখার ফলে স্বল্পবিরতিতে বারবার ডোপামিন নিঃসরণের ফলে মস্তিষ্ক এই হরমোনটির
কার্যকারীতার প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
জেএমএ সাইকিয়াট্রি নামের জার্নালে ২০১৪ সালে
প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়- নিয়িমিত পর্ণ মুভি দেখলে একটা সময়ে এসে যৌনতার
প্রতি মস্তিষ্কের উদ্দীপনায় ঘাটতি নেমে আসতে পারে।তার মানে আগের মতো স্বাভাবিক
মাত্রার যৌন উদ্দীপনা ধরে রাখতে হলে আরো বেশি হারে ডোপামিন নিঃসরণের দরকার পড়বে।
এর জন্য আবার আরো বেশি বেশি পর্ন মুভি দেখার প্রয়োজন পড়বে। গবেষণায় এমনটাই প্রমাণ
পেয়েছেন জার্মান বিশেষজ্ঞরা।
সাইকোলজি টুডে-তে প্রকাশিত ২০১১ সালের আরেকটি
গবেষণায় দেখা গেছে, এভাবে অতিরিক্ত ডোপামিনের প্রয়োজনীয়তা দেখা
দেওয়ার মানে হল যারা পর্ন মুভি দেখেন তাদের যৌন উত্তেজনা বা উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ার
জন্য উত্তোরত্তর চরম অভিজ্ঞতামূলক পরিস্থিতির প্রয়োজন পড়বে।পর্ন মুভিতে অমন
অস্বাভাবিক যৌনাচরণ দেখার ফলে পুরুষরা ক্রমান্বয়ে যৌন সংবেদনশীলতা হারাতে থাকে এবং
স্বাভাবিকভাবে যৌন উত্তেজনার সক্ষমতাও হারাতে থাকে।পর্নোগ্রাফি এমন একটি তরুণ
প্রজন্ম সৃষ্টি করে যারা বেডরুমে হতাশায় ভোগে।
পর্ন মস্তিষ্ককে সংকুচিত করে
যারা নিয়মিত পর্ন মুভি দেখেন সম্ভবত তাদের
মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে আসতে থাকে। ওই জার্মান গবেষকরা এমনটাই আবিষ্কার
করেছেন।মস্তিষ্কের যে অংশটুকুতে যৌন উদ্দীপনা ও ইন্দ্রিয় সুখানুভুতি সৃষ্টি হয়
অতিরিক্ত পর্ন মুভি দেখার ফলে সে অংশটুকেু ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসতে থাকে।ওই
গবেষণায়ই সর্বপ্রথম গবেষকরা নিয়মিত পর্ন মুভি দেখার সঙ্গে শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির
সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তবে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যারা বেশি বেশি পর্ন মুভি দেখেন
তারা হয়তো একটি বিশেষ ধরনের মস্তিষ্ক নিয়েই জন্মগ্রহণ করেন।
পর্ন আসক্তদের মন ড্রাগ আসক্তদের মতোই
২০১৩ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পর্ন আসক্তরা যখনই পর্ন মুভি দেখতে বসে তাদের মস্তিষ্কে স্ক্যান মেশিনের মতো আলো জ্বলে ওঠে।যেসব তরুণ অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত তারা উত্তেজক ছবি দেখামাত্রই তাদের মস্তিষ্কে ক্রিসমাস ট্রির মতো আলো জ্বলে ওঠে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটিই দেখা গেছে।মস্তিষ্কের যে অংশে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ইন্দ্রিয় সুখানুভুতি সৃষ্টি হয় সে অংশটি ড্রাগ আসক্ত ও পর্ন আসক্ত উভয়ের বেলায়ই সমান উচ্চহারে সক্রিয় থাকে।
এর এক বছর পর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অল্প বয়স থেকেই পর্ন মুভি দেখায় অভ্যস্থ হয়ে পড়ে তাদের মস্তিষ্কের তিনটি অংশ যারা পর্নআসক্ত নয় তাদের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। সূত্র: ডেইলি মেইল
পর্ন আসক্তদের মন ড্রাগ আসক্তদের মতোই
২০১৩ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পর্ন আসক্তরা যখনই পর্ন মুভি দেখতে বসে তাদের মস্তিষ্কে স্ক্যান মেশিনের মতো আলো জ্বলে ওঠে।যেসব তরুণ অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত তারা উত্তেজক ছবি দেখামাত্রই তাদের মস্তিষ্কে ক্রিসমাস ট্রির মতো আলো জ্বলে ওঠে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটিই দেখা গেছে।মস্তিষ্কের যে অংশে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ইন্দ্রিয় সুখানুভুতি সৃষ্টি হয় সে অংশটি ড্রাগ আসক্ত ও পর্ন আসক্ত উভয়ের বেলায়ই সমান উচ্চহারে সক্রিয় থাকে।
এর এক বছর পর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অল্প বয়স থেকেই পর্ন মুভি দেখায় অভ্যস্থ হয়ে পড়ে তাদের মস্তিষ্কের তিনটি অংশ যারা পর্নআসক্ত নয় তাদের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। সূত্র: ডেইলি মেইল