স্বাস্থ্য

জেনে নিন নাক ডাকা সমস্যার কারন ও তার প্রতিকার

নাক ডাকা মাদের অনেকের জন্য বেস অস্বস্তিকর । এনিয়ে শোয়ার পারটনারের সাথে বা রুমমেটদের সাথে , বা স্বামী স্ত্রীর সাথে মন মালিন্য হয় । আসুন জেনে নিই নাক ডাকার কারণ সমূহ:

১.নাক এবং/অথবা সাইনাসের সমস্যা যাতে
নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার সৃষ্টি হয়
২.অতিরিক্ত ওজন
৩.ধূমপান,মদ্যপান
৪. চিৎহয়ে শোয়া
৫. ঘুমের ওষুধ বা সিডেটিভ গ্রহণ
৬. অতিরিক্ত খাওয়া
৭. পুরুষদের শ্বাসপ্রশ্বাসের পথ মহিলাদের
চেয়ে সরু হওয়া
৮. সরু গলা,তালুতে ফাটল,বড় এডেনয়েড
ইত্যাদি সমস্যা
৯. মধ্য বয়স বা ততোধিক বয়স
১০. ঘরে বা বালিশে এলার্জেন থাকা
১১. কম ঘুমানো
১২. পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান না করা।


নাক ডাকা নাক ডাকার সহজ কিছু
সমাধান:-

১. শরীরের ওজন অতিরিক্ত হলে তা কমাতে
হবে
২. নিয়মিত ব্যায়াম, যেমন- হাঁটা, সাঁতার
কাটা ইত্যাদি করতে হবে
৩. থ্রোট এক্সারসাইজ করতে হবে প্রতিদিন
নিচের নিয়মেঃ
i) প্রতিটি ভাওয়েল(A,E,I,O,U)উচ্চস্বরে
বারবার বলা ৩ মিনিট ধরে
ii) জিহ্বা উল্টো করে ৩ মিনিট ধরে রাখা
iii) মুখ বন্ধ করে ঠোঁট কাঁপানো ৩০ সেকেন্ড
ধরে
iv) মুখ খোলা রেখে চোয়াল ডান দিকে ৩০
সেকেন্ড আবার বাম দিকে ৩০ সেকেন্ড ধরে
রাখা
v) মুখ হা করে আলজিহবা(Uvula)উপরে-নিচে
নামানো ৩০ সেকেন্ড ধরে।
৪. নাক এবং/অথবা সাইনাসের সমস্যার
কারণে নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার
সৃষ্টি হলে নাকের ভিতরের পথ পরিষ্কার
করতে হবে। Nasal decongestant ব্যবহার করার
মাধ্যমে এটি করা যায়।
৫. সরু গলা, তালুতে ফাটল, বড় এডেনয়েড
এধরণের কোন সমস্যা থাকলে তার জন্য
চিকিৎসা নিতে হবে
৬. এক দিকে কাত হয়ে ঘুমানো, প্রয়োজনে
পিঠের নিচে টেনিস বল দিয়ে নিতে হবে
যাতে করে চিত হতে গেলে পিঠের নিচে বল
পড়ে এবং আবার কাত হয়ে যাওয়া যায়।
৭.ধূমপান,মদ্যপানপরিহার করা (যদি অভ্যাস
থাকে)
৮.ঘুমের ওষুধ বা সিডেটিভ গ্রহণের অভ্যাস
থাকলে বাদ দেয়া
৯. হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে কামরার
বাতাস সিক্ত রাখা
১০. বালিশ ৪ ইঞ্চি উঁচু করা
১১. শোতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে থেকে
ক্যাফেইন, দুধ বা অন্য কোন ভারী খাবার না
খাওয়া।
১২. এরপরও নাক ডাকা বন্ধ না হলে আপনার
শয্যা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কানে তুলা দিতে
পারেন।